মিনিয়াপোলিসে পুলিশি নিপীড়নে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরটিতে চলা বিক্ষোভের লাইভ সম্প্রচারের সময় সিএনএনের এক সাংবাদিককে আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সমালোচনা চলছে।
Published : 30 May 2020, 03:28 PM
শুক্রবার ভোরের দিকে লাইভ সম্প্রচারের মধ্যেই ওমর জিমিনেজ নামের ওই সাংবাদিকের হাতে হাতকড়া লাগে। তার সঙ্গে তার ক্যামেরাম্যান ও প্রযোজককেও পুলিশ আটক করে।
পুলিশ পরে তিনজনকেই ছেড়ে দিয়েছে; তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও আনা হয়নি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
মিনেসোটা গভর্নর টিম ওয়ালজ এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিককে আটকের বিষয়টি ‘একেবারেই অগ্রহণযোগ্য’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিক্ষোভের সময় পুলিশ ওমর ও তার সহকর্মীদের সরে যেতে বলেছিল। লাইভ সম্প্রচার চলায় সাংবাদিকরা ওই মুহুর্তে স্থান ত্যাগে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে তখন তাদের আটক করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
সিএনএন বলেছে, লাইভ সম্প্রচারের সময় সাংবাদিক আটকের ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের সুষ্পষ্ট লংঘন।
৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে মিনিয়াপোলিসে বৃহস্পতিবার রাতের সহিংস বিক্ষোভ নিয়ে প্রতিবেদন করতে শহরটিতে গিয়েছিলেন ওমর। এদিন প্রতিবাদকারীরা মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে বড় শহরটির একটি থানা জ্বালিয়ে দিয়েছিল।
সিএনএনের এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ওমর নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে পুলিশকে লাইভ সম্প্রচারের বিষয়টি জানান।
“আপনারা যেখানে চান সেখানে যেতে পারি আমরা। কিন্তু আমরা এই মুহুর্তে লাইভে আছি,” পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে এমনটাই বলতে শোনা যায় ওমরকে।
প্রত্যুত্তরে পুলিশের এক সদস্য ‘আপনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে’ বলে ওমরের হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেন।
সিএনএন এ ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর সুস্পষ্ট লংঘন বলে অভিহিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে বাক স্বাধীনতাকে সুরক্ষা দেয়া হয়েছে।
মিনিয়াপোলিস পুলিশ পরে সাংবাদিকদের আটক ও পরে ছেড়ে দেয়ার কথা জানায়।
“তারা গণমাধ্যমের সদস্য এটা নিশ্চিত হওয়ার পরপরই তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে,” বলেছে তারা।
মিনেসোটার গভর্নর ওয়ালজ বলেছেন, তিনি এ ঘটনার ‘পুরো দায়’ নিচ্ছেন। এ ধরনের কিছু হওয়া ‘একেবারেই উচিত হয়নি’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।