করোনাভাইরাস আতংকে রীতিমতো কাঁপছে বিশ্ব। প্রতিরোধেও চলছে অবিরাম চেষ্টা, পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে সতর্কতা। কুয়েতে ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া নিষেধ করা হয়েছে।
Published : 15 Mar 2020, 04:14 PM
দেশটির ফতোয়া কমিটি আওকাফ ও ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর বাসিল আল সাবাহ বলেন, রাষ্ট্রের যে কোনো দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে এ ধরনের সিদ্ধান্তের বৈধতার কথাও জানিয়েছে ফতোয়া কমিটি।
কুয়েতের ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ফতোয়া কমিটি আওকাফ জানায়, আযানের ধ্বনি যথারীতি সব মসজিদ থেকেই শোনা যাবে। শুধুমাত্র মসজিদে উপস্থিত হয়ে সমবেতভাবে নামাজ আদায় করা যাবে না।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
এর আগে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে কুয়েতের মন্ত্রিসভা গত ১২ই মার্চ থেকে টানা ২ সপ্তাহের জন্য সরকারি সব কর্মক্ষেত্রে স্বাভাবিক কাজ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। স্থগিতাদেশ চলার সময়টিকে সরকারি ছুটি হিসেবেই বিবেচনা করছে মন্ত্রিসভা।
এর একদিন পর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে কুয়েতের সড়কপথের গণপরিবহন ''বাস'' চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
একইসঙ্গে স্থানীয় পৌরসভার জরুরি এক বিজ্ঞপ্তিতে কুয়েতের ফ্রাইডে মার্কেট খ্যাত সুক আল-জুম্মা বন্ধে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল ও ফ্রাইডে মার্কেট বন্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
অন্যদিকে, কুয়েতের সংশ্লিষ্ট এক মন্ত্রণালয়ের আগের নির্দেশ মোতাবেক দেশটির শপিংমল, রেস্তোরাঁ জিমস সেন্টার, ক্লাব বন্ধ রয়েছে।
কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েত সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক দূতাবাস নিম্নলিখিত নির্দেশনা, পরামর্শ দিচ্ছে:
*পাসপোর্ট ও অন্যান্য কনস্যুলার সেবা ১২ মার্চ ২০২০ থেকে ২৬ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ।
*জরুরী বিষয়ে ( যেমন - মৃতদেহ সংক্রান্ত ) বিষয়সহ অতীব জরুরী বিষয়গুলো চালু থাকবে ।
*এছাড়াও দূতাবাস জানায়, প্রবাসীদের যতদূর সম্ভব দেশে অথবা বিদেশে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রযয়োজন না হলে রাস্তা-ঘাটে, মার্কেটে চলাচল বন্ধ রাখতে হবে ।
শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত কুয়েতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ জনে, চিকিৎসাধীন ৯৫ জন, সুস্থতা লাভ করেছেন ৫জন ও সংকটপূর্ণ ৪জন।
এছাড়াও, দেশটির তিনটি জায়গায় যথাক্রমে, জওয়ান রেসর্ট,খাইরান রেসর্ট ও আল-কুত বিচ্ হোটেলে ৮৪৭ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।