আফ্রিকার মধ্যাঞ্চলীয় দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (ডিআরসি) পূর্বাঞ্চলে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হামলায় অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছেন।
Published : 16 Dec 2019, 01:24 PM
শনিবার দিবাগত গভীর রাতে হামলাটি চালানো হয় বলে রোববার ডিআরসির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
উগান্ডার ইসলামপন্থি গোষ্ঠী অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিএফ) কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলেও প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে। ৩০ অক্টোবর থেকে ডিআরসির সেনাবাহিনী এডিএফের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। কিন্তু তারপর থেকে গোষ্ঠীটির সদস্যদের হামলায় অন্তত ১৭৯ জন বেসামরিক নিহত হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন।
বাওবা ও নতম্বী গ্রামে ২২টি মৃতদেহ গুনেছেন বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন পূর্বাঞ্চলীয় বেনি অঞ্চলের সহকারী প্রশাসক রিচার্ড কিভানজঙ্গা।
তিনি বলেন, “হামলাকারীরা পুরুষদের পাশাপাশি নারী ও শিশুদেরও হত্যা করেছে। সেনাবাহিনীর পাহারা ছাড়া মৃতদেহগুলো সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।”
শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে ডিআরসির প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স সিসেকেডি এডিএফের সব আস্তানা ‘ভেঙে’ দেওয়া হয়েছে এবং বিদ্রোহীরা গেরিলা কায়দা নিতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন।
কিন্তু ধারাবাহিক সামরিক অভিযান সত্ত্বেও গোষ্ঠীটিকে পুরোপুরি নির্মূল করা যায়নি বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
সহিংসতা বাড়তে থাকায় ডিআরসির সেনাবাহিনী ও দেশটির পূর্বাঞ্চলে মোতায়েন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের রক্ষা করতে না পারার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ শুরু করেছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। তখন সহিংসতায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়।
জঙ্গিদের তৎপরতার কারণে ডিআরসির পূর্বাঞ্চলে ইবোলার প্রাদুর্ভাবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তার অভাবে স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই এলাকার গ্রামগুলোতে যেতে না পারায় সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে।