যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীকে দক্ষিণ চীন সাগরে শক্তি প্রদর্শন বন্ধ করতে হবে। তাইওয়ানের ভবিষ্যৎকেও যেন নতুন অনিশ্চয়তায় দিকে ঠেলে না দেওয়া হয়।
Published : 18 Nov 2019, 08:31 PM
সোমবার চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী উই ফেংহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে একথা বলেছেন। বেইজিং এর মুখপাত্র উ কিয়ান একথা জানান।
চীন তাদের তৈরি নতুন বিমানবাহী রণতরী প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার জন্য দক্ষিণ চীন সাগরে যাচ্ছে বলে ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার এ রণতরী তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রম করেছে বলে জানায় পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) নৌবাহিনী। তার মধ্যেই দেশটি যুক্তরাষ্ট্রকে ওই অঞ্চলে উত্তেজনা না বাড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক করল।
উ কিয়ান জানান, ব্যাংককে বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকের ফাঁকে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী উই মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসপারকে বলেছেন, “দক্ষিণ চীন সাগরে শক্তি প্রদর্শন বন্ধ করুন। সেখানে উস্কানি দিয়ে উত্তেজনা বাড়াবেন না।”
নৌপথে বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক পথগুলোর একটি দক্ষিণ চীন সাগর। যেটির পূর্ণ মালিকানা দাবি করে চীন। অন্যদিকে, সমুদ্রে চলাচলের স্বাধীনতা এবং বাকি দাবিদারদের সহায়তার নামে যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই ওই নৌপথে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চেয়েছে।
যা নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতির দুই দেশের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের এবং উভয় দেশই পরষ্পরকে ওই নৌপথে শক্তিবৃদ্ধি নিয়ে মাঝেমধ্যেই হুঁশিয়ার করে।
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে হোয়াইট হাউজ থেকে ব্যস্ত ওই নৌপথে চীনের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধিকে ‘হুমকি’ বলে বর্ণনা করে তার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছিল। এর জবাবেই চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী উই ফেংহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে দক্ষিণ চীন সাগরে শক্তি প্রদর্শন বন্ধ করতে বললেন।
এ সাগর শুধু গুরুত্বপূর্ণ নৌবাণিজ্য পথই নয়। বরং সেখানে প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেলের ভাণ্ডার মজুদ আছে। যে কারণে ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা দাবি করে।
‘নৌচলাচলে স্বাধীনতার’ কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজও নিয়মিত সেখানে টহল দেয়। মাঝে মাঝে সেগুলো চীন নিয়ন্ত্রিত দ্বীপাঞ্চলের অনেক কাছে চলে যায়।
চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, “চীন দক্ষিণ চীন সাগরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বদ্ধপরিকর। ফলে আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে সেখানে হস্তক্ষেপ বন্ধ করা এবং সামরিক উস্কানি না দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”
ওদিকে, তাইওয়ানের স্বাধীনতার কোনো পদক্ষেপ চীন সহ্য করবে না জানিয়ে উই বলেন, তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারি কিংবা সামরিক যোগাযোগের বিরোধিতা করবে তার দেশ।