ভারত যখন কাশ্মীর থেকে কারফিউ তুলে নেবে তখন সেখানে ‘রক্তক্ষয়’ ঘটবে বলে বিশ্বকে সতর্ক করে দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
Published : 28 Sep 2019, 12:38 AM
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে শুক্রবারের ভাষণে ইমরান একথা বলেন।
তাছাড়া, দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পুরোদস্তুর যে কোনো যুদ্ধ বা সংঘাতের নেতিবাচক পরিণতি যে বিশ্বকেও ভোগ করতে হবে তাও ইমরান স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
ভারত সরকার গত ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিয়ে ওই অঞ্চলকে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে রেখেছে। কাশ্মীর অঞ্চলে গণহারে ধরপাকড়, যোগাযোগ বন্ধ করে রাখা এবং কারফিউ জারি করে ভারত বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা নেওয়ায় উত্তেজনা বেড়েছে।
পরবর্তীতে সেখানে কিছু কড়াকড়ি শিথিল হলেও আটক বিশিষ্ট কাশ্মীরি নেতারা এখনো ছাড়া পাননি এবং মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবাও চালু হয়নি।
কাশ্মীরের এ পরিস্থিতি বিশ্বের সামনে তুলে ধরা এবং এ ইস্যুতে কিছু করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাগাদা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এবারের জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দেন ইমরান।
আবেগঘন বক্তব্যে তিনি বলেন, ৮০ লাখ কাশ্মীরিকে পাহারা দিয়ে রেখেছে ৯ লাখ ভারতীয় সেনার বাহিনী। কারফিউ উঠে গেলে কি হবে? কাশ্মীরিরা কি চুপচাপ তাদের মর্যাদার এই পরিবর্তন মেনে নেবে? কারফিউ উঠে গেলে যা হবে তা হচ্ছে, রক্তবন্যা বয়ে যাবে। মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। আর সেনারা কি করবে? তারা তাদের দিকে গুলি ছুড়বে.. আরো মৌলবাদের দিকে ঝুঁকবে কাশ্মীরিরা।
ইমরান বলেন, “আমার একথা ভুল হলে সর্বোত্তম কিছু ঘটার আশা করা যায়। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির জন্যও তৈরি থাকতে হবে।”
“দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে... যে কোনো কিছু ঘটতে পারে। আর পারমাণবিক অস্ত্রধর কোনো দেশ শেষ পর্যন্ত লড়ে গেলে এর পরিণতি সীমান্তের গণ্ডি পেরিয়ে যাবে। বিশ্বও এর ফল ভুগবে।”