দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা তার বিরুদ্ধে আনা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, সব অভিযোগই ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’। রাজনীতি থেকে তাকে সরানোর চক্রান্ত।
Published : 15 Jul 2019, 10:26 PM
বিচারক নেতৃত্বাধীন একটি তদন্ত কমিশনের কাছে জুমা এ দাবি করেন। ক্ষমতায় থাকার সময় জুমাকে ঘিরে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে ওই কমিশন।
প্রথমবারের মত বিশেষ ওই কমিশনের সামনে জুমাকে হাজির করা হয় বলে সোমবার জানিয়েছে বিবিসি।
কমিশনের সঙ্গে দেখা করতে জুমা যখন ভবনে প্রবেশ করছিলেন তখন সেখানে উপস্থিত তার সমর্থকরা করতালি দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানায়।
কমিশনের সভাপতি বিচারপতি রয় জোনডোকে তিনি বলেন, “দুর্নীতিবাজদের রাজা আখ্যা দিয়ে আমার মানহানি করা হয়েছে।”
“আমার আরো অনেক নাম দেওয়া হয়েছে এবং আমি কখনো ওইসব বিষয় নিয়ে কথা বলিনি।”
জুমার দাবি, তাকে রাজনীতির দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে দিতে কয়েক দশক ধরে চক্রান্ত করা হয়েছে। এমনকী তাকে অসম্মানিত করতে অদৃশ্যভাবে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রও এ চক্রান্তে জড়িত আছে।
জুমার বিরুদ্ধে সাবেক সরকারের মন্ত্রী এনগোয়াকো রামাথোদি দুর্নীতির বেশ কিছু অকাট্য প্রমাণ দেন। রামাথোদিকেও চক্রান্তের অংশ বলেন দাবি জুমার। তিনি বলেন, “বিদেশি এজেন্টরা আমাকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলতেও চেয়েছিল।” যদিও তিনি তাদের কারো নাম উল্লেখ করেননি।
তদন্ত কমিশনের মুখোমুখি হওয়ার আগের দিন জুমা বেশ ভালো মুডে ছিলেন। ওই দিন টুইটারে তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তাকে ‘জুমা নিপাত যাক’ স্লোগান শুনে হাসতে দেখা যায়।
দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৭৭ বছরের জুমাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।
জুমার সহযোগী সিরিল রামাফোসা তার স্থলাভিষিক্ত হন। যিনি দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুর্নীতি মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। জুমা ক্ষমতায় থাকার নয় বছরকে তিনি ‘অপব্যয়’ বলে বর্ণনা করেন।