আফগানিস্তানে ১৭ বছরের চলমান যুদ্ধের ইতি টানতে শান্তি চুক্তির একটি খসড়া কাঠামোয় একমত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান আলোচকরা।
Published : 28 Jan 2019, 07:19 PM
কাতারে যুক্তরাষ্ট্র এবং জঙ্গি গোষ্ঠী তালেবানের মধ্যে ৬ দিনের আলোচনার পর বিশেষ মার্কিন দূত জালমে খলিলজাদ একথা জানান। ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকা খলিলজাদকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে।
আফগান বিষয়ক বিশেষ দূত খলিলজাদ আলোচনার বিষয়ে আফগানিস্তান সরকারকে ব্রিফিং দিতে কাবুলে যান। দীর্ঘ আফগান যুদ্ধের ইতি টানতে ‘আলোচনায় অগ্রগতি’ হয়েছে বলে জানিয়েছে দুই পক্ষই।
সে কথাই তুলে ধরে সোমবার কাবুলে এক সাক্ষাৎকারে ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’কে খলিলজাদ বলেন, “আমরা একটি খসড়া কাঠামো প্রস্তুত করেছি। পাকা চুক্তি হওয়ার আগে এটি নিয়ে আরো বিস্তৃত পরিসরে কাজ করতে হবে।”
মার্কিন পররাষ্ট্রবিভাগও বিবিসি’র কাছে কথাটি ঠিক বলে নিশ্চিত করেছে। শান্তি চুক্তির ওই খসড়া কাঠামোয় তালেবান গোষ্ঠী আল কায়েদার মতো জঙ্গিদেরকে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানোর জন্য আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার না করতে দিতে রাজি হয়েছে।
ওদিকে, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতিসহ আফগান সরকারের সঙ্গে তালেবানের সরাসরি আলোচনায় বসার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নিতে রাজি আছে।
তবে তালেবান বলছে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের একটি পাকা দিন নির্ধারণ হওয়ার পরই কেবল তারা আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে।
আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি সোমবার নতুন করে তালেবানকে সরকারের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসার নতুন আবেদন জানিয়েছেন।
তালেবান গোষ্ঠী এ পর্যন্ত আফগান সরকারকে ‘পুতুল’ সরকার আখ্যা দিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা নাকচ করে এসেছে।
এবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের আলোচনায় খলিলজাদ আফগানিস্তান সরকারকে ‘অগ্রগতি’ হওয়ার কথা জানালেও বাস্তবিকই একটি শান্তি চুক্তি হতে বছরের পর বছর লেগে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা।