ব্রেক্সিট: আইরিশ সীমান্ত নিয়ে ইইউ-যুক্তরাজ্য বিরোধ

নর্দান আয়ারল্যান্ড সীমান্ত নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা নমনীয় না হলে কোনো চু্ক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্য ইইউ ছাড়বে বলে জানিয়েছেন দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী ক্রিস গ্রেলিং।

>>রয়টার্স
Published : 21 Sept 2018, 11:12 AM
Updated : 21 Sept 2018, 11:13 AM

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বৃহস্পতিবার সলসবুর্গে ইইউ নেতাদের সঙ্গে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া নিয়ে বৈঠক করেন।

অনানুষ্ঠানিক ওই বৈঠক শেষে ইইউ নেতারা বলেন, তারা অক্টোবরের মধ্যে একটি ব্রেক্সিট চুক্তিতে উপনীত হতে চান।

তবে মে যদি ‘বাণিজ্য ও আইরিশ সীমান্ত নিয়ে ছাড় না দেন, তবে কোনো চুক্তি ছাড়াই যুক্তরাজ্যকে বেরিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়ে দিতে প্রস্তুত আছেন বলেও সতর্ক করেছেন। 

এ বিষয়ে গ্রেলিং বলেন, “এই মুহূর্তে তারা নর্দান আয়ারল্যান্ড বিষয়ে যে দাবি করছেন তা যুক্তরাজ্যের যেকোনো সরকারের পক্ষে পূরণ করা একবারেই অসম্ভব। সত্যি বলতে যদি তারা তাদের অবস্থানে অনড় থাকেন তবে কোনো চুক্তিই সম্ভব নয়।

“বৈঠকে অনেক তর্ক-বিতর্ক হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত একমত হওয়া গেছে। যার ভিত্তিতে আমরা শিগগিরই একটি চুক্তিতে উপনীত হতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।”

২০১৯ সালের ২৯ মার্চের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে ইইউ থেকে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

হাতে মাত্র ছয় মাস সময় আছে। অথচ এখনও পর্যন্ত বিচ্ছেদ বিষয়ে কোনো চুক্তি হয়নি।

গত ৬ জুলাই মে’র তার মন্ত্রিসভায় একটি‘বাণিজ্যবান্ধব' ব্রেক্সিট পরিকল্পনা প্রস্তাব করেন এবং চরম বিভাজনের পরও তা অনুমোদন পায়।

যদিও ওই প্রস্তাব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে দুইদিনের মাথায় প্রথমে ডেভিড ডেভিস ব্রেক্সিটমন্ত্রীর পদ থেকে এবং পরে বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।

সাবেক ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডেভিস নিজের পদত্যাগপত্রে মে'র পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেন।

মে’র দল কনজারভেটিভ পার্টির অনেক এমপিও ‘চেকারস প্ল্যান' পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন। নতুবা তারা ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।