ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে সলসবুর্গে ইইউ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি।
নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে একটি ব্রেক্সিট চুক্তিতে উপনীত হওয়া যাবে বলে আশা উভয়পক্ষের।
আগামী বছর ২৯ মার্চের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে ইইউ ছাড়তে হবে। অথচ ব্রাসেলসের সঙ্গে এখনও তারা বিচ্ছেদ পরিকল্পনা নিয়ে কোনো চুক্তিতে উপনীত হতে পারেনি।
গত ৬ জুলাই যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে মন্ত্রিসভায় তার ‘বাণিজ্যবান্ধব’ ব্রেক্সিট পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন এবং মন্ত্রীদের মধ্যে চরম বিভাজনের পরও তা অনুমোদন পায়।
যদিও ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে দুইদিনের মাথায় প্রথমে ডেভিড ডেভিস ব্রেক্সিটমন্ত্রীর পদ থেকে এবং পরে বরিস জনসন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
সাবেক ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডেভিস নিজের পদত্যাগপত্রে মে’র পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেন।
মের দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপিরা তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনাকে ‘চেকারস প্ল্যান’ বলে তা পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন। নতুবা তারা ওই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
মে তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় বিচ্ছেদের পরও যুক্তরাজ্যের পণ্যের ইইউ ‘ফ্রি ট্রেড জোনে’ থাকার কথা বলেছেন। এজন্য দেশটিকে ইইউ’র কিছু নিয়ম মানতে হবে।
ইইউ থেকে বিচ্ছেদের পক্ষে থাকা নেতারা একে ‘বিশ্বাসঘাতকতার নামান্তর’ বলছেন।
সেপ্টেম্বরের শেষে কনজারভেটিভ পার্টির বার্ষিক সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সম্মেলনে মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনার ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হতে পারে।
ব্রেক্সিট বিষয়ে ইইউর প্রধান আলোচক মাইকেল বার্নিয়েরের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপের পর শুক্রবার রাব বলেন, “যদিও এখনও আমাদের মধ্যে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য আছে যার সমাধানে পৌঁছাতে হবে। তবে পরিষ্কার ভাবেই আমরা বিচ্ছেদ চুক্তির কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গ্রহণযোগ্য সমাধানের খুব কাছে পৌঁছে গেছি। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ সু-সম্পর্ক নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করছি।”
এক টুইটে বার্নিয়ের বলেন, রাবের সঙ্গে তার ‘ফলপ্রসূ আলোচনা’ হয়েছে।