ব্রেক্সিট নিয়ে দলকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বিচ্ছেদের পরিকল্পনা নিয়ে নিজের দ্বিধাবিভক্ত দলকে সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।

>>রয়টার্স
Published : 15 July 2018, 04:11 PM
Updated : 15 July 2018, 04:11 PM

দল তার বিপক্ষে অবস্থান নিলে শেষ পর্যন্ত ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া আদৌ না হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

মন্ত্রিসভায় চরম বিভাজনের মধ্যেও গত ৬ জুলাইয়ে ইইউ’র সঙ্গে মে’র ‘বাণিজ্যবান্ধব’ ব্রেক্সিট পরিকল্পনা অনুমোদন পায়।

যদিও এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত হতে না পেরে গত ৮ জুলাই একই দিনে প্রথমে ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডেভিড ডেভিস এবং পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন পদত্যাগ করেন।

ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডেভিস তার পদত্যাগপত্রে মে’র পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।

অন্যদিকে, ২০১৬ সালে ব্রেক্সিট প্রশ্নে গণভোটে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে প্রচারের নেতৃত্বে ছিলেন জনসন।

তাই তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মে’র নেতৃত্ব নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করেছেন।

এমনকি ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তিনি যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি না করারও হুমকি দেন।

ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে শনিবার ফেইসবুকে মে লেখেন, “এ সপ্তাহান্তে দেশের প্রতি আমার বার্তা খুবই সাধারণ:  কি পুরস্কার পাব সেদিকেই আমাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত। যদি আমরা তা না করি, তবে ব্রেক্সিট আদৌ হবে না- এমন পরিণতিই হয়ত আমাদের হবে।”

২০১৯ সালের ২৯ মার্চের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে ইইউ ছাড়তে হবে। হাতে নয় মাসের কম সময় বাকি। অথচ যুক্তরাজ্য এবং ইইউ’র মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক কিরকম থাকবে সে ব্যাপারেই এখনো আলোচনায় সমঝোতা হওয়া বাকি।

মে ব্রেক্সিটের পর ইইউ-র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখতে চান।

তিনি তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনায় বিচ্ছেদের পরও যুক্তরাজ্যের পণ্যের ইইউর ‘ফ্রি ট্রেড জোনে’ থাকার কথা বলেছেন। যদিও এজন্য দেশটিকে ইইউ’র কিছু নিয়ম মানতে হবে।

ইইউ থেকে বিচ্ছেদের পক্ষে থাকা নেতারা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনাকে ‘বিশ্বাসঘাতকতার নামান্তর’ বলছেন।