দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন বলছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন দ্রুত পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া শেষ করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয় আরেকটি শীর্ষ বৈঠকে বসতে চান।
Published : 20 Sep 2018, 08:53 PM
তিনদিনের পিয়ংইয়ং সফর শেষে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে কিমের এ আগ্রহের কথা জানান মুন।
রাজধানী সিউলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “পিয়ংইয়ংয়ে বৈঠককালে নেতা কিম খুব দ্রুতই নিরস্ত্রীকরণ শেষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।”
ওয়াশিংটনের কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে কিম দ্রুত নিরস্ত্রীকরণ করবেন। আর ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকটিও কিম জলদি করতে চান বলে জানিয়েছেন মুন।
তাছাড়া, এবছর শেষেই ১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয়া যুদ্ধ সমাপ্তির ঘোষণা পাওয়াটাও কিমের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানান তিনি।
গত জুনে কিম-ট্রাম্প শীর্ষ বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়ার নেতা কয়েকদিন আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেওয়া একটি চিঠিতে দ্বিতীয় বৈঠকের আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন বলেন, কোরিয়া যুদ্ধ সমাপ্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হলে উত্তর কোরিয়া খুব দ্রুত তাদের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পরিহারে আরো পদক্ষেপ নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন কিম।
সংবাদদাতাদের মুন বলেন, “কিম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও শিগগিরই উত্তর কোরিয়া সফর করবেন এবং নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গেও তার দ্বিতীয় বৈঠকটি খুব শিগগিরই হবে বলে তিনি আশা করছেন।”
জুনে সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠকে কিম কোরীয় উপদ্বীপকে পুরোপুরি নিরস্ত্রীকরণের অঙ্গীকার করেন।
কিন্তু এরপর উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে ধীরগতির কারণে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা বেশ কিছুদিনের জন্য থমকে যায়। পিয়ংইয়ংয়ে পম্পেওর নির্ধারিত একটি সফরও শেষ মূহুর্তে বাতিল করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা কিংবা কোরিয়া যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণাসহ পিয়ংইয়ংয়ের মূল দাবিগুলো মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র শর্ত জুড়ে দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়াকে তাদের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলো পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দিতে হবে বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন।