ফেনীর ফুলগাজীতে ১৯ ব্যালট পেপার জব্দ, আটক ১৩

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ফেনীর একটি কেন্দ্র থেকে সিলমারা ব্যালট জব্দ এবং ভোটে প্রভাব বিস্তার করার অভিযোগে ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার সকালে ফুলগাজী উপজেলার বন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ব্যালট পেপার এবং দরবারপুর ইউনিয়ন থেকে ১১ জন ও হাজী আমির হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে দুজনসহ ১৩ জনকে আটক করা হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বন্দুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ফয়েজ উল্যাহ জানান, জাল ভোট দেওয়ার সময় পোলিং অফিসারের সামনে থেকে ১৯টি সিলমারা ব্যালট পেপার জব্দ করা হয়েছে।

ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, “এক টিভি সাংবাদিক বুথে ঢুকে দেখতে পান, পোলিং অফিসারের সামনে সিলমালা ব্যালট পেপার ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। পরে বিষয়টি আমাকে জানালে চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন মজুমদারের কাপ-পিরিচ প্রতীকের ১৯টি ব্যালট জব্দ করে বাতিল করা হয়।”

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও তানিয়া ভূইয়া বলেন, “ভোটে প্রভাব বিস্তার করায় দরবারপুর ইউনিয়নে থেকে ১১ জন ও হাজী আমির হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, বেলা দুপুর ২টা পর্যন্ত তার উপজেলার ৩২টি কেন্দ্রে প্রায় ২৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। সুষ্ঠ ভোট গ্রহণের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইসমাত জাহান লিপি বলেন, এ উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৬ হাজার ৫৭১ জন। এর মধ্যে ৫৪ হাজার ৭৬০ জন পুরুষ এবং ৫০ হাজার ৯১১ জন নারী ভোটার রয়েছেন।

নির্বাচনে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৩২টি ভোট কেন্দ্রের ২৪৪ বুথে ভোটগ্রহণ হয়েছে। উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের দুইটি পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একক প্রার্থী থাকায় নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।