থাইল্যান্ডে গুহার পানি নিষ্কাশন করে কমানো গেলে আটকা পড়া ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচ সাঁতার না দিয়েও হেঁটে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
Published : 05 Jul 2018, 09:25 PM
দলটিকে বাইরে বের করে আনার বিভিন্ন উপায় বিবেচনা করে দেখছে উদ্ধারকারীরা।
তাদের বের করে আনার সম্ভাব্য উপায়গুলো হচ্ছে, প্রথমেই তাদেরকে ডাইভিং শেখানো। ডাইভ দিয়ে গুহা থেকে বের হয়ে আসার জন্য স্কুবা প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে দলটিকে। তবে এ পন্থা বিপজ্জনক হওয়ায় একেবারে শেষ উপায় ছাড়া এ পদ্ধতি কাজে না লাগানোর চিন্তা করা হচ্ছে।
গুহার পানি নিষ্কাশনেরও চেষ্টা চলছে। পাম্প দিয়ে গুহার ভেতরের পানি বের করা হচ্ছে। এভাবে পানি অনেকখানি কমিয়ে আনা গেলে কিশোররা লাইফ জ্যাকেট পরে হেঁটেই গুহা থেকে বের হয়ে আসতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তাদেরকে ডাইভ করতে হবে না।
অচিরেই একটি ঝড়ের পূর্বাভাস আছে। ফের বৃষ্টি শুরু হলে গুহা পুরোপুরি প্লাবিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় এর আগেই শিশুদের উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারীরা দ্রুত কাজ শেষ করার চাপে আছে বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা।
গত ২৩ জুন ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী ১২ ফুটবলার ও তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ চিয়াং রাইয়ের ‘থাম লুয়াং নায় নন’ গুহায় প্রবেশ করে। পরে প্রবল বৃষ্টিতে গুহার প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে তারা ভতরে আটকা পড়ে।
আটকে পড়া শিশুরা জীবিত আছে বলে গত সোমবার নিশ্চিত হয়েছে উদ্ধারকারীরা। শিশুদের কেউই সাঁতার জানে না।
উদ্ধারকারীরা গুহার পানি যতটা সম্ভব কমানোর চেষ্টা করছেন। তারপরও কিছু জায়গা সাঁতরে আসতে হবে শিশুদেরকে। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে উদ্ধারকারী থাকলেও সরু পথ দিয়ে তাদেরকে একাই পানি পার হতে হবে।
চিয়াং রাইয়ের গভর্নর বলেছেন, গুহাটি থেকে পানি বের করার কাজ চলবে। কিশোর ফুটবলার এবং তাদের কোচের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গুহার ভেতরে ডাক্তার ও নার্সও পাঠানো হবে।
ছোট্ট একটি খরস্রোতা নদী পেরিয়ে ওই গুহায় প্রবেশ করতে হয়।
কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ গুহাটি পর্যটকদের কাছে বরাবরই দারুণ আকর্ষণীয়। যদিও বর্ষা মৌসুমে প্রায়ই গুহার ভেতর পানি প্রবেশ করে। ভারি বৃষ্টিপাত হলে গুহার ভেতরে পানি ১৬ ফুট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।