ষাঁড়দৌড়ের উৎসবে এক তরুণীর ওপর আক্রমণের ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ আদালত খারিজ করে দেওয়ায় এর প্রতিবাদে স্পেনের বিভিন্ন শহরে তুমুল বিক্ষোভ হয়েছে।
Published : 27 Apr 2018, 02:10 PM
মাদ্রিদসহ ডজনখানেক শহরে হওয়া এসব প্রতিবাদে ক্রুদ্ধ হাজারো বিক্ষোভকারী আদালতের এ সিদ্ধান্তকে ‘লজ্জাজনক’ অ্যাখ্যা দিয়ে অপরাধীদের সাজা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বিবিসি জানায়, যৌন নিপীড়ণের অভিযোগে ওই পাঁচ ব্যক্তিকে আগেই নয় বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
স্পেনের আইনে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ণ আলাদা হওয়ায় আদালত হোসে এঞ্জেল প্রেন্দা, আন্তোনিও ম্যানুয়েল গেরেরো, এঞ্জেল বোজা, আলফোনসো হেসুস কাবেজুয়েলো ও হেসুস এসকুদেরোর পক্ষে রায় দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৮ বছর বয়সী এক নারীর ওপর ২০১৬ সালের জুলাইয়ে পাম্পলোনার সান ফেরমিন ফেস্টিভালে হামলার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ লো মানাদার (ওলফ প্যাক) সদস্য ওই অভিযুক্তরা হামলাটির ভিডিও করেছিল।
পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, পাম্পলোনার ষাঁড়দৌড়ের উৎসবের মধ্যে ভোরের দিকে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী ওই পাঁচ ব্যক্তি তরুণীটির ওপর হামলে পড়ে, কাপড়চোপড় খুলে ফেলে তাকে ধর্ষণও করে। পরে আক্রান্ত নারীর ফোনও চুরি হয়ে যায়।
পুলিশ পরে ওলফ প্যাক গ্রুপের ওই ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। ২০১৬ সাল থেকেই তারা জেল খাটছিলেন।
হামলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে আদালত আক্রান্ত নারীকে ৫০ হাজার ইউরো ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।
যৌন নিপীড়ণের অভিযোগে তাদের কারাদণ্ডের রায় হলেও অনেকেই এটিকে অপরাধের তুলনায় অত্যন্ত কম সাজা বলে মনে করছেন।
পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আদালত খারিজ করে দেওয়ার পর মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ভ্যালেন্সিয়া ও পাম্পলোনাসহ ডজনখানেক শহরের রাস্তায় নেমে এসে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী এর প্রতিবাদ জানায়। তারা আদালতের রায়কে ‘পুরুষতান্ত্রিক’ হিসেবে অভিহিত করে।
মাদ্রিদে একদল বিক্ষোভকারী কংগ্রেস অব ডেপুটিজের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়।
পাম্পলোনায় বিক্ষোভ শুরু হয় আদালত চত্বরের বাইরে থেকেই। রায় শোনার জন্য আগেই সেখানে তরুণীটির প্রতি সহমর্মী হাজারো মানুষ অপেক্ষা করছিল।
অভিযুক্তদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে হামলার শিকার নারী ও তার আইনজীবীরা আপিলের ঘোষণা দিয়েছেন।