উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে হটলাইন চালু

প্রায় দুই বছর পর দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে টেলিফোন যোগাযোগ পুনরায় চালু করেছে উত্তর কোরিয়া।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2018, 02:42 PM
Updated : 4 Jan 2018, 08:33 AM

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, বুধবার উত্তর কোরিয়া থেকে প্রথম টেলিফোন কলটি পায় সিউল।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতেও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে হটলাইন চালুর খবর দেওয়া হয়।

ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক শুরু হচ্ছে। ওই আয়োজনে নিজেদের দল পাঠানো নিশ্চিত করতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সিউলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন।

কিমের নির্দেশেই দুই বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে টেলিফোন যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া।

গত সোমবার খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম সম্পর্কে উত্তেজনা কমিয়ে আনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে তিক্ততার বরফ গলানোরও ইঙ্গিত দেন।

কিম বলেন, অলিম্পিকে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে উত্তরের জনগণ তাদের একতা দেখানোর সুযোগ পাবে।

তাৎক্ষণিকভাবে কিমের এ বক্তব্যকে স্বাগত জানায় দক্ষিণ কোরিয়া। প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন একে সম্পর্ক উন্নয়নের ‘চমৎকার সুযোগ’ হিসেবেও অ্যাখ্যা দেন। দক্ষিণ কোরিয়ার পুনঃএকত্রীকরণ মন্ত্রী ‘যুদ্ধবিরতি গ্রাম’ খ্যাত পানমুনজমে ৯ জানুয়ারি দুই কোরিয়ার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনারও প্রস্তাব দেন।

দক্ষিণের ওই প্রস্তাবে সাড়া দেওয়া হবে কিনা, তা নিশ্চিত করেনি পিয়ংইয়ং।

টেলিফোন যোগাযোগ পুনরায় চালু হওয়ার পর এখন এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

বিবিসি জানায়, ২০১৫ সালের ডিসেম্বরের পর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উচ্চপর্যায়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

সেবার কায়েসং শিল্প এলাকায় দুই কোরিয়ার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর থেকে দক্ষিণের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া।

দুই দেশের মধ্যে থাকা টেলিফোন হটলাইনেও উত্তরের কোনো ধরনের সাড়া না পাওয়ার কথা জানিয়েছিল সিউল।

কিমের নববর্ষের ভাষণের পরও বেশ কয়েকদফায় দক্ষিণের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

“(টেলিফোন যোগাযোগ পুনঃস্থাপন) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে, যাতে সবসময় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়,” বলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইনের এক মুখপাত্র।

তবে টেলিফোনে যোগাযোগ পুনঃস্থাপিত হলেও নানা ধরনের জিজ্ঞাসাবাদের পরই কথা বলা সম্ভব হচ্ছে বলে জানান দক্ষিণ কোরিয়ার এক কর্মকর্তা।