যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠার পর ‘তার আচরণে কেউ মনক্ষুণ্ন হয়ে থাকলে‘ তিনি তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
Published : 26 Oct 2017, 01:43 PM
জর্ডানা গ্রলনিক নামে এক অভিনেত্রী যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েবসাইট ডেস্পিনকে বলেছেন, গত বছর এক অনুষ্ঠানে নিজের পছন্দের যাদুকরের নাম বলতে বলতে বুশ তার গায়ে হাত দেন।
এর আগে হেদার লিন্ড নামে আরেক অভিনেত্রী এই লোকের বিরুদ্ধে ‘পেছন থেকে শরীরে হাত দেওয়ার’ অভিযোগ তুলেছিলেন।
তবে ‘পরিবেশ সহজ করতে’ জ্যেষ্ঠ বুশ এমনটি কাজ করেছেন বলে তার মুখপাত্রের দাবি বিবিসির প্রতিবেদনের উদ্ধৃত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “৯৩ বছর বয়সী বুশ হুইলচেয়ার ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। তাই লোকজনের সঙ্গে ছবি তোলার সময় তার হাত তাদের কোমরের নিচের দিকে পড়ে থাকে।
“লোকজনকে সহজ করতে প্রেসিডেন্ট নিয়মিতই সবাইকে একই কৌতুক শোনান- এবং কখনও কখনও তিনি শালীনভাবে নারীদের পেছন দিকে মৃদু চাপড় দিয়ে থাকেন।
“কেউ কেউ এটাকে নিষ্পাপ চোখে দেখেন, অন্যরা অশালীন মনে করেন। এভাবে কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে প্রেসিডেন্ট বুশ সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে ক্ষমা চেয়েছেন।”
মিস লিন্ডের মতো গ্রলনিকও যৌন হয়রানির অভিযোগসংলিষ্ট ঘটনার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে প্রকাশ করেছেন।
একটি মঞ্চ অভিনয়ের বিরতির সময় তোলা ওই ছবিতে দেখা যায়, মি. বুশের হাত পাছার উপর।
“আমার মাংসপেশীতে আরও জোরে চাপ দিতে দিতে তিনি বললেন, ‘ডেভিড-কপ-অ্যা-ফিল!”
১৯৮৯ সাল থেকে এক মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা এই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে একই ধরণের অভিযোগ করেছেন হেদার লিন্ড।
তার অভিযোগ, জ্যেষ্ঠ বুশ ‘হুইল চেয়ারে বসে আমার পাছায় হাত দিয়েছিলেন’ এবং ‘নোংরা কৌতুক’ শুনিয়েছেন।
২০১৪ সালে একটি টিভি ড্রামার ছবি তোলার সময় বুশ তার হাত দিয়েছেন বলে অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে সম্প্রতি লিন্ড ইন্সটাগ্রামে ছবি পোস্ট করে পরে তা সরিয়েও নেন।
ইনস্টাগ্রাম থেকে ছবিটি সরানো হলেও যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘মি টু’ হ্যাশট্যাগের সঙ্গে যুক্ত করে ছবিটি শেয়ার নিরব প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন অনেকে।
মার্কিন ‘মিডিয়া মুঘল’হার্ভি ওয়াইনস্টিনের বিরুদ্ধে একাধিক হলিউড অভিনেত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলার পর যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে ‘মি টু’ হ্যাশট্যাগে নিরব প্রতিবাদ চলছে।