লিথুয়ানিয়ায় কয়েদির ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকারের পক্ষে রায় দিয়েছে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত (ইসিএইচআর)।
Published : 17 Jan 2017, 09:36 PM
লিথুনিয়া এক কয়েদিকে ইন্টারনেট ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ার পর ইউরোপীয় আদালত কারা কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তকে ‘অহেতুক’ বলে বর্ণনা করেছে।
ইউরোপের মানবাধিকার নীতি অনুযায়ী, ওই বন্দির স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার রয়েছে বলে রায় দিয়েছে ইসিএইচআর।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে লিথুয়ানিয়া কর্তৃপক্ষ হেনরিকাস জানকোভস্কিসকে অনলাইনে আইন বিষয়ে একটি কোর্সে ভর্তির আবেদন করতে বাধা দেয়।
কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাদের যুক্তির পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ আদালতে উপস্থাপণ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে আদালত।
জানকোভস্কিস যে ওয়েবসাইটগুলোতে ভিজিট করতে চেয়েছিলেন সেগুলোর সবই লিথুনিয়া সরকার পরিচালিত বলেও আদালতে উল্লেখ করা হয়।
যদিও আগেই ইসিএইচআর কয়েদিদের ইন্টারানেটে প্রবেশের অধিকারের পক্ষে রায় দিয়েছে।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ইসিএইচআর’ এর এক রায়ে বলা হয়, সরকার কয়েদিদের ইন্টারনেটে প্রবেশ করে তথ্য সংগ্রহে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে না। তবে এর অর্থ এই নয় যে, অন্য সাধারণ মানুষের মত কয়েদিরাও ইন্টারনেট ব্যবহার করবে অথবা বিশেষ ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশ করতে পারবে।”
নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ইউরোপের দেশগুলোতে কয়েদিদের বিশেষ বিশেষ ওয়েবসাইটে প্রবেশে বিস্তৃতভাবে সীমাবদ্ধতা টেনে দেয়া হয়।
লিথুনিয়ার এই ঘটনায় জানকোভস্কিসকে শিক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশের এবং অনলাইনে পড়াশুনার সুযোগ করে দেওয়া উচিত বলে মেনে নিয়েছে মানবাধিকার আদালত। আদালতের মতে, এটা জানকোভস্কিসের লক্ষ্য এবং তার ভবিষ্যৎ শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত।