ইসরায়েলের গোয়েন্দা নথিতে জাতিসংঘের ফিলিস্তিন ত্রাণ সংস্থার এই স্টাফদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। যার যেরে সংস্থাটিতে অর্থায়ন বন্ধ করেছে ১০টির বেশি দেশ।
Published : 29 Jan 2024, 08:10 PM
ইসরায়েল তাদের ৬ পাতার গোয়েন্দা নথিতে জাতিসংঘের ফিলিস্তিন ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) ১৯০ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে গতবছর ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের চালানো হামলা ও অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে। যার মধ্যে আছে শিক্ষকও।
এই কর্মচারীরা হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের হয়েও কাজ করেছে বলে অভিযোগ ইসরায়েলের। এদের মধ্যে ১১ জনের নাম ও ছবি আছে তাদের কাছে।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা নথিতে উল্লিখিত এই অভিযোগের জেরেই যুক্তরাষ্ট্রসহ ১০ টি’র বেশি দেশ জাতিসংঘের ফিলিস্তিন ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-তে অর্থায়ন স্থগিত করেছে।
ফিলিস্তিনিরা অভিযোগ করে বলেছে, ইসরায়েল ইউএনআরডব্লিউএ কে বদনাম করার জন্য মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে। ওদিকে, জাতিসংঘ সংস্থাটি বলেছে তারা ইসরায়েলের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে তাদের কিছু কর্মচারীকে বরখাস্ত করেছে এবং অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা নথিতে বলা হয়েছে, অভিযোগ থাকা ১১ জনের মধ্যে ১ জন হচ্ছেন, স্কুল কাউন্সিলর। তিনি ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হামলার সময় এক নারীকে অপহরণের জন্য তার ছেলেকে সহায়তা করেছিলেন।
হামাসের ওই নজিরবিহীন হামলার ঘটনায় ইসরায়েলে ১২০০ জন নিহত এবং ২৫৩ জন অপহৃত হয়েছিল।
ইসরায়েলের গোয়েন্দা নথিতে ইউএনআরডব্লিউএ-এর আরেক সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, এক ইসরায়েলি সেনার মৃতদেহ গাজায় নিয়ে যাওয়ায় তিনি জড়িত ছিলেন। তাছাড়া, হামাস যোদ্ধা এবং অস্ত্র বহনের জন্য পিকআপ ট্রাক চলাচলের বিষয়টিও এই ব্যক্তি সমন্বয় করেছিলেন।
তৃতীয় আরেকজন ফিলিস্তিনির বিরুদ্ধে ইসরায়েল সীমান্তের বেরি গ্রামে হত্যাযজ্ঞ চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে গোয়েন্দা নথিতে। ওই গ্রামের এক-দশমাংশ অধিবাসী হামাসের হামলায় নিহত হয়েছিল।
ইসরায়েলের রেইম সেনা ঘাঁটিতে হামলায় অংশ নেওয়ার জন্য অভিযোগ করা হয়েছে চতুর্থ আরেকজনের বিরুদ্ধে।
নাম-পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইসরায়েলের এই গোয়েন্দা নথি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেখিয়েছেন। তিনি জানান, এই নথি তৈরি করেছে ইসরায়েলের গোয়েন্দারা এবং যুক্তরাষ্ট্রকেও তা দিয়েছে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র গত শুক্রবার ইউএনআরডব্লিউএ- তে অর্থায়ন স্থগিত করে।
ইসরায়েলের এই নথির বিষয়ে ইউএনআরডব্লিউএ এর মুখপাত্রকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,তদন্ত চলার কারণে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা যাচ্ছে না।