ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের বাড়তে থাকা উপস্থিতির মুখে ভারত তাদের সামরিক বাহিনী আধুনিকায়ন করছে। জোর দিচ্ছে নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর।
Published : 10 Oct 2024, 11:57 PM
পারমাণবিক শক্তিচালিত দুটি সাবমেরিন তৈরি করবে ভারত। বুধবার এ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দুই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা একথা জানিয়েছেন। এ প্রকল্পে ভারতের ব্যয় হবে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি রুপি (৫৪০ কোটি ডলার)।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের বাড়তে থাকা উপস্থিতির মুখে ভারত তাদের সামরিক বাহিনী আধুনিকায়ন করছে। এর আওতায় নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর তারা জোর দিচ্ছে। পাশাপাশি নিজস্বভাবে অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
পুজোর বাদ্যির মধ্যে ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক বসেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে। সেখানেই পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়। তারপর কমিটিতে পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরির প্রকল্পকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অুনচ্ছুক দুই প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, ভারতের নৌবাহিনী ছয়টি আধুনিক পরমাণুশক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির পরিকল্পনা করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা এ পরিকল্পনারই প্রথম দফায় দুটি সাবমেরিন তৈরির অনুমোদন দিয়েছে।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় বিশাখাপত্তনম বন্দরে সরকারি জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রে এই সাবমেরিন তৈরি করা হবে। তবে কবে নাগাদ সাবমেরিনগুলো তৈরি হয়ে যাবে সে বিষয়ে কোনও দিনক্ষণ জানাননি কর্মকর্তারা।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় নৌবাহিনী আছে চীনের। দেশটির আছে ৩৭০টির বেশি যুদ্ধজাহাজ। ২০২০ সালে চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষে ২৪ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনার পর থেকে ভারতের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে আছে চীন।
পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনগুলো প্রচলিত ডিজেলচালিত সাবমেরিনের চেয়ে অনেক দ্রুতগতির হয় এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য এগুলো পানির নীচে ডুবে থাকতে পারে। এ ধরনের সাবমেরিন শনাক্ত করা বেশ দুরূহ। তাছাড়া, এগুলোতে বেশি পরিমাণে অস্ত্র, সরঞ্জাম ও মালপত্রও বহন করা যায়।
অল্প কয়েকটি দেশের এ ধরনের সাবমেরিন আছে। দেশগুলো হল- চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র।
ভারত এর আগে রাশিয়ার কাছ থেকে দুটি পরমাণু শক্তিচালিত আক্রমণাত্মক সাবমেরিন ইজারা নিয়েছিল। কিন্তু পরে সেগুলো ফিরিয়ে দিয়েছে। আরেকটি সাবমেরিন ইজারা নেওয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।