দেশটির বেসামরিক ছায়া সরকার ও রাখাইন ভিত্তিক জাতিগোষ্ঠীর মিলিশিয়া বাহিনী আরাকান আর্মিও এই বিমান হামলার কথা জানিয়েছিল।
Published : 11 Jan 2025, 04:15 PM
মিয়ানমারের সামরিক সরকারের এক বিমান হামলায় দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনের এক গ্রামে বহু মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশটির গৃহযুদ্ধ চতুর্থ বছরের কাছাকাছি আছে, এ সময়টিতেই হামলাটি চালানো হলো।
দেশটির বেসামরিক ছায়া সরকার ও রাখাইন ভিত্তিক জাতিগোষ্ঠীর মিলিশিয়া বাহিনী আরাকান আর্মিও (এএ) সরকারি বাহিনীর এই বিমান হামলার কথা জানিয়েছিল।
শুক্রবার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানায়, জান্তা বুধবার বিকালে ইয়ানবাই শহর সংলগ্ন কিয়াউক নি মাও গ্রামে বিমান হামলা চালিয়ে প্রায় ৫০০ বাড়ি ধ্বংস ও ৪০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করে।
মিয়ানমারের বিরোধীদলগুলোর জাতীয় ঐক্য সরকারও প্রায় একই তথ্য জানিয়েছে বলে খবর রয়টার্সের।
তবে রয়টার্স স্বতন্ত্রভাবে এসব প্রতিবেদন যাচাই করতে পারেনি। এ বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য রয়টার্স মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্রকে ফোন দিলেও তিনি উত্তর দেননি।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা তাদের বিরুদ্ধে আনা নৃশংসতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দাবি করেছে, তারা ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
আরাকান আর্মি ২৬ জন মুসলিম গ্রামবাসীর নাম প্রকাশ করে তারা ওই বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে। ওই হামলায় আরও ১২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে এএ।
২০২১ সালে দেশটির সামরিক বাহিনী নোবেল পুরস্কার জয়ী নেত্রী অঙ সান সু চির দলের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই মিয়ানমারজুড়ে অস্থিরতা চলছে। সামরিক সরকার রক্তক্ষরণের মধ্য দিয়ে অভ্যুত্থানবিরোধী প্রতিবাদ দমনের পর থেকে জান্তা বিরোধীরা অস্ত্র তুলে নিয়ে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে।
জাতিসংঘ তাদের বিবৃতিতে সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
মিয়ানমারের জান্তার বৈদেশিক আয় বন্ধ করার জন্য কর্মরত আন্দোলনকারীদের জোটে ‘ব্লাড মানি ক্যাম্পেইন’ দেশটির সামরিক বাহিনীকে আকাশযানের জ্বালানি সরবরাহ করা কোম্পানিগুলোর ওপর অবিলম্বে নিধেষাজ্ঞা আরোপের জন্য বিশ্বের সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
ব্লাড মানি ক্যাম্পেইন’ এর মুখপাত্র মুলান বলেছেন, “এই সমর্থনগুলো বন্ধ হলে তাদের বিমান হামলার সত্যিকার ইতি ঘটবে।”
আরও খবর: