তোষাখানা মামলায় গ্রেপ্তার থেকে রেহাই পেতে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দিয়েছেন বিচারক।
ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও সেশন আদালতের বিচারক জাফর ইকবাল বৃহস্পতিবার এ প্রস্তাব দেন।
তোষাখানা মামলায় জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত করার জন্য ইমরানের করা আবেদন আদালত এদিন প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের দৈনিক ‘ডন’।
বিচারক বলেছেন, আদালতের কাছ থেকে কোনও আনুকূল্য লাভের চেষ্টা করার আগে ইমরান খানের উচিত আত্মসমর্পণ করা।
বিচারকের লিখিত নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, রেকর্ড থেকে এটি স্পষ্ট যে, আবেদনকারী কখনও আদালতে হাজির হননি। চারবার তাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুযায়ী তাকে (ইমরান) গ্রেপ্তার করতে গিয়ে অনেক মানুষ আহত হয়েছে, গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পিটিআই প্রধান আদালতের মর্যাদা ও নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
পুলিশ তাদের কর্তব্য করতে গিয়ে বাধার মুখে শক্তি প্রয়োগ করেছে। এমন বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটানোর পর আবেদনকারী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিতের দাবি করতে পারেন না।
আবেদনকারীর সৃষ্ট আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে তাকালে দেখা যায়, তিনি প্রক্রিয়াগত এবং আইনের দিক থেকে মঞ্জুর করা যায় এমন কিছু অধিকার হারিয়েছেন। আদালতের প্রক্রিয়াকে উপেক্ষা করায় তাকে আদতেই আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
তোষাখানা মামলার শুনানিতে বারবার অনুপস্থিত থাকায় গত সোমবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন বিচারক জাফর ইকবাল।
ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে ১৮ মার্চ আদালতে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয় আদালত। এ নির্দেশ পেয়েই ইসলামবাদ পুলিশের একটি দল লাহোরে যায়।
গত মঙ্গলবার ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে তার জামান পার্কের বাড়ি ঘিরে পুলিশ অবস্থান নিলে গ্রেপ্তার ঠেকাতে রাস্তায় নেমে আসা পিটিআই নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেধে যায়।
পিটিআই কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি কাঁদুনে গ্যাস ও পেট্রোল বোমা ছোড়ার ঘটনার পর বুধবার পুলিশ পিছু হটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।