কানাডা ছয় ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করার দুই দিন পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ মন্তব্য করেছেন।
Published : 17 Oct 2024, 10:46 AM
কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এসেছে তেমন আগ্রাসীভাবে তারা কানাডার সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করতে পারবে ভেবে ‘মারাত্মক ভুল’ করেছে।
কানাডা ছয় ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করার দুই দিন পর বুধবার ট্রুডো এ মন্তব্য করেছেন।
কানাডার ভেতরে ‘স্বাধীন খালিস্তান’ পন্থি এক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার খুনের সঙ্গে ওই ছয় কূটনীতিকের সম্পর্ক ছিল এবং তারা কানাডায় ভারতীয় ভিন্নমতালম্বীদের নিশানা করার একটি বিস্তৃত প্রচেষ্টার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ অটোয়ার।
শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে ভারতের সঙ্গে কানাডার এক বছর ধরে বিবাদ চলছে আর এতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন এক তলানীতে নেমেছে। এই পুরো সময়ে এবারই প্রথম ট্রুডো বিষয়টি নিয়ে এমন কড়া মন্তব্য করলেন।
কানাডার রাজনীতিতে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়ে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশনকে দেওয়া সাক্ষ্যে ট্রুডো বলেন, “কানাডার সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তায় তারা যে আগ্রাসীভাবে হস্তক্ষেপ করেছে তেমনটি করতে পারবে ভেবে ভারতের সরকার মারাত্মক ভুল করেছে।”
রয়টার্স জানিয়েছে, ট্রুডোর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই লাইনের এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ট্রুডোর জবানবন্দিতে নয়া দিল্লির অবস্থান নিশ্চিত হয়েছে যে ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে কানাডা কোনো প্রমাণ দেয়নি।
বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি বলেছে, “এই দাম্ভিক আচরণ ভারত-কানাডা সম্পর্কের যে ক্ষতি করেছে তার দায় শুধু প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর ওপর বর্তায়।”
ট্রুডো বলেছেন, কানাডীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অটোয় আরও পদক্ষেপ নিতে পারে। কিন্তু আর বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
ভারত কানাডার সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপের সব অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে নয়া দিল্লি থেকে ছয় কানাডীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।