মহারাষ্ট্রের আওরঙ্গাবাদ জেলা থেকে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের কবর সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) ।
Published : 18 Mar 2025, 04:48 PM
ভারতের নাগপুর শহরে হিন্দু গোষ্ঠীগুলোর মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের কবর সরিয়ে নেওয়ার দাবিকে ঘিরে সহিংসতা হয়েছে।
সোমবার রাতের এ ঘটনায় এক ডজনেরও বেশি পুলিশ আহত হওয়ার পর শহরটির কিছু অংশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, মহারাষ্ট্র রাজ্যের শহরটিতে সহিংসতা চলার সময় বহু গাড়ি ভাংচুর করা হয়, অনেকগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় অন্তত ১৫ জন পুলিশসহ অনেকে আহত হন।
আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাডনবিস এক ভিডিও বার্তায় সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, “প্রয়োজন হলে যে কোনো ধরনের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পুলিশ কমিশনারকে বলেছি আমি।”
এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) সদস্যরা আওরঙ্গজেবের একটি কুশপুত্তলিকা দাহ করে এবং নিকটবর্তী শহর আওরঙ্গাবাদ থেকে ৩০০ বছরেরও বেশি সময় আগে মারা যাওয়া সম্রাটের কবর সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে শ্লোগান দেয়।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, মুসলিম গোষ্ঠীগুলোর বেশ কিছু সদস্য মিছিল করে একটি পুলিশে স্টেশনের কাছে আসে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে, এ সময় পরিস্থিতি নাজুক হয়ে ওঠে।
ওই এলাকার এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানান, মাস্ক পরা ওই হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র ও বোতল নিয়ে এসেছিল।
ভিএইচপি কোনো সহিংসতায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। ভিএইচপির মহাসচিব মিলিন্দ পারান্দে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, তারা আওরঙ্গজেবের সমাধি সরিয়ে সেখানে স্থানীয় এক মারাঠা সম্প্রদায়ের শাসকের স্মৃতিসৌধ স্থাপন করতে চান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আদর্শিক গুরু রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান কার্যালয়ও নাগপুরে। ভিএইচপি এই সংঘ পরিবারেরই একটি সংগঠন।
মোদীর সমালোচকরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্য করার জন্য প্রায়ই তাকে অভিযুক্ত করেন। মুসলিমদের লক্ষ্যস্থল করে এমন গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেন না বলে অভিযোগ তাদের। তবে মোদী এবং তার সরকার এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন।