ক্রেমলিনে গত ২৯ জুনে এ বৈঠক হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেণ্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
Published : 10 Jul 2023, 08:19 PM
ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনারের বিদ্রোহের পর ক্রেমলিনে দলটির প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন ও তার কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
গত ২৯ জুনে এ বৈঠক হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। বৈঠকে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ওয়াগনারের সেই সশস্ত্র বিদ্রোহ প্রচেষ্টা নিয়েই আলাপ হয়েছে।
পেসকভ সাংবাদিকদের জানান, পুতিন ৩৫ জনকে বৈঠকে ডেকেছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন প্রিগোজিনসহ তার ইউনিটের কমান্ডাররা। তাদের সঙ্গে তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন পুতিন।
বৈঠকে গত ২৪ জুন যা ঘটেছিল তা নিয়ে পুতিন তার মূল্যায়ন প্রিগোজিনকে জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে ওয়াগনার কমান্ডারদের কাছ থেকে কী ঘটেছিল তা নিয়ে ব্যাখ্য শোনেন তিনি। ওয়াগনার কমান্ডারদের চাকরি কিংবা যুদ্ধে অংশ নেওয়ার বিকল্প প্রস্তাবও দেন পুতিন।
পেসকভ জানান, বৈঠকে ওয়াগনার কমান্ডাররা ২৪ জুনের ঘটনা নিজেদের বয়ানে বর্ণনা করেন। এ সময় কমান্ডাররা জোর দিয়ে এও বলেন যে, তারা পুতিনের কট্টর সমর্থক। তারা মাতৃভূমি রাশিয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।
গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ইউক্রেইন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে মারাত্মক অস্ত্র হয়ে উঠেছিল প্রিগোজিনের ওয়াগনার বাহিনী।
কিন্তু গত জুনে হঠাৎ করে প্রিগোজিন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বসেন এবং রাতারাতি ইউক্রেইন থেকে সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ার দক্ষিণের একটি নগরী দখলের পর মস্কো অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন।
পরদিন দিনভর যাত্রা করে এক হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে মস্কোর ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিল বিদ্রোহী ওয়াগনার বাহিনী।
তবে শেষ পর্যন্ত বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় ওই বিদ্রোহের অবসান হয় এবং বিদ্রোহীদের কোনো সাজার মুখে পড়তে হবে না বরং তাদের রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে চলে যেতে দেওয়া হবে এই শর্তে একটি চুক্তি হয়।