Published : 16 Mar 2025, 08:59 PM
ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প যে বিমান হামলা শুরু করেছেন তা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
শনিবার হুতিদের ওপর প্রথম দফা বিমান হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত এবং ১০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নজর রাখা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড শনিবারের এই বিমান হামলাকে ইয়েমেনজুড়ে বড় ধরনের অভিযানের সূচনা বলে অভিহিত করেছেন।
লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজের ওপর হুতিদের হামলার জবাবে তাদের ওপর হামলা চালায় লোহিত সাগরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের হ্যারি এস ট্রুম্যান বিমানবাহী রণতরীর জঙ্গিবিমান।
ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর ইয়েমেন অঞ্চলে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি ব্যবহার করলেন।
হুতি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত ও নয়জন আহত হয়েছেন।
ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “ইরানের অর্থায়নে হুতি দুর্বৃত্তরা মার্কিন বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং আমাদের সেনা ও মিত্রদের নিশানা করেছে।
“তাদের জলদস্যুতা, সহিংসতা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি করেছে এবং জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলেছে।”
গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রতিক্রিয়ায় সাগরে জাহাজ নিশানা করে আক্রমণ চালিয়ে আসছিল হুতি গোষ্ঠী।
হুতিদের হামলা সহ্য করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেছেন, হুতিদের হামলা বন্ধ হওয়া দরকার। নইলে তাদের ওপর বৃষ্টির মতো হামলা চলবে।
হুতিদের ভাষ্য, গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধে তারা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে কাজ করছে। তারা কেবল ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্য সংশ্লিষ্ট জাহাজকে নিশানা করছে।
ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র হামলার জবাব তীব্র পাল্টা হামলার মধ্য দিয়েই দিতে প্রস্তুত বলে রোববার জানিয়েছে হুতিরা।
হুতিরা ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে কয়েক ডজন বাণিজ্যিক জাহাজকে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও ছোট নৌকায় করে হামলা চালিয়েছে। তারা দুটি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে, জব্দ করেছে আরেকটি জাহাজ; চার ক্রুকে মেরে ফেলেছে।
বাণিজ্যিক জাহাজের সুরক্ষায় পশ্চিমা যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন কিংবা হুতিদের সামরিক স্থাপনা নিশানা করে একাধিক মার্কিন ও ব্রিটিশ হামলাতেও দমেনি বিদ্রোহী এ গোষ্ঠী।