ইরাকে কুর্দি গোষ্ঠীগুলোর ওপর ইরানের হামলায় নিহত ১৩

ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলেশন গার্ড কোর বলেছে, সাম্প্রতিক ‘দাঙ্গায়’ সমর্থন দেওয়া ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের’ ওপর হামলা চালিয়েছে তারা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2022, 04:17 AM
Updated : 29 Sept 2022, 04:17 AM

ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছে বলে ইরাকি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

যে এলাকাগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে সেগুলো ইরানের কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ঘাঁটি বলে দাবি করেছে তেহরান।

বিবিসি জানিয়েছে, হামলায় নিহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও আছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলেশন গার্ড কোর বলেছে, সাম্প্রতিক ‘দাঙ্গায়’ সমর্থন দেওয়া ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের’ ওপর হামলা চালিয়েছে তারা।

১৩ দিন আগে রাজধানী তেহরানে পুলিশ হেফাজতে কুর্দি নারী মাশা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে।

আমিনি (২২) ইরানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সাকেজ থেকে তেহরানে গিয়েছিলেন। সেখানে হিজাব দিয়ে মাথা পুরোপুরি না ঢাকায় আইন ভাঙ্গার অপরাধে দেশটির নীতি পুলিশ তাকে আটক করে।

পুলিশ বলছে, ডিটেনশন সেন্টারে হঠাৎ হার্ট ফেইলিওর হয়ে আমিনি পরে যান। কিন্তু তার পরিবার পুলিশের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, নীতি পুলিশের কর্মকর্তারা তাকে পিটিয়েছিল। হাসপাতালে তিন দিন কোমায় থাকার পর আমিনির মৃত্যু হয়।

কুর্দি মানবাধিকার গোষ্ঠী হেনগাও সোমবার বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর হাতে আমিনি হত্যার প্রতিবাদকারী ১৮ কুর্দি বিক্ষোভকারী নিহত, ৮৯৮ জন আহত ও হাজারেরও বেশি গ্রেপ্তার হয়েছে।

ইরান মানবাধিকার গোষ্ঠী জানিয়েছে, সারা দেশে এ পর্যন্ত ৭৬ জন প্রতিবাদকারী নিহত হয়েছে। তবে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সারা দেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও সরকারপন্থি মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্যসহ মোট ৪১ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে।

ইরানের কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে অস্থিরতার জন্য ‘বিদেশি শত্রুদের’ সঙ্গে সম্পর্ক থাকা ‘দাঙ্গাকারীদের’ দায়ী করেছে। এই সুযোগে প্রতিবেশী ইরাক থেকে সরকারবিরোধী ইরানি কুর্দি গোষ্ঠীগুলো ইরানের কুর্দি এলাকাগুলোতে প্রবেশ করে ‘নিরাপত্তাহীনতার বীজ বপন’ করছে বলে অভিযোগ করেছে তারা।

বুধবার ইসলামিক রেভ্যুলেশন গার্ড কোর জানিয়েছে, তারা ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইরানিয়ান কুর্দিস্তান (পিডিকেআই) ও কুর্দিস্তান ফ্রিডম পার্টি (পিএকে) তথা কোমালার মূল ঘাঁটিতে ‘নির্ভুলভাবে নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র ও অস্ত্রসজ্জিত ড্রোনযোগে’ হামলা চালিয়েছে।

হুমকি ‘সন্দেহাতীতভাবে’ অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত আক্রমণ চলবে বলে জানিয়েছে তারা।

কোমালা জানিয়েছে, জার্গওয়েজ এলাকায় ১০টি ড্রোন নেমেছে। পিএকে বলেছে, শেরওয়া এলাকায় তাদের সদরদপ্তরে হামলা হয়েছে। পিডিকেআই জানিয়েছে, কোই সানজাক এলাকায় তাদের সদরদপ্তরেও হামলা চালানো হয়েছে।

ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকার ও কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকার দেশটির ভূখণ্ডে ইরানি বাহিনীর হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

আরও পড়ুন:

Also Read: ইরানে অস্থিরতায় যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ, পাল্টা জবাবের হুঁশিয়ারি