ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
Published : 18 Apr 2024, 06:56 PM
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। ইসরায়েলে ইরানের শত, শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বুধবার নেতারা এ সিদ্ধান্ত নেন। মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর চেষ্টায় আছে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো।
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ২৭ জাতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের শীর্ষ বৈঠকে ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের এ সিদ্ধান্ত হয়। গত শনিবার ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর এটিই ছিল ইইউ নেতাদের প্রথম শীর্ষ বৈঠক।
ইরানের হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ইঙ্গিত এরই মধ্যে দিয়েছে ইসরায়েল। তবে কীভাবে তারা এ প্রতিশোধ নেবে তা বলেনি।
ইইউ নেতারা ইরানের হামলার নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েলের নিরাপত্তায় নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন এবং লেবাননসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়া ঠেকানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ইইউ নেতাদের শীর্ষ বৈঠকের সভাপতি চার্লস মাইকেল বলেন, “ইরানকে একঘরে করতে সবকিছু করা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি।”
ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় দেশটির ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো পড়বে বলে জানান তিনি।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেছেন, “ইরানের হামলার জবাবে ইসরায়েলের নিজ থেকে ব্যাপক হামলা না চালানোটাই গুরুত্বপূর্ণ।”
ইতালি আলাদাভাবে জি৭ বৈঠককে সামনে রেখে ইসরায়েলে হামলা চালানোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অস্ত্র সরবরাহকারী এবং লোহিত সাগরে জাহাজে হামলার জন্য দায়ীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে কথা বলেছে।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলের বিমান হামলার জবাবে গত শনিবার ইসরায়েলে শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল তেহরান। কনস্যুলেটে হামলার জন্য ইরান ইসরায়েলকে দোষারোপ করেছে।
শনিবার রাতে ইরানের ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশ ইসরায়েলের ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়। যদিও এ হামলায় ছোট্ট একটি শিশু গুরুতর আহত হয়েছে এবং দুই চিরশত্রু দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।