সুপ্রিম কোর্ট সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর দল পিটিআই পার্লামেন্টে সংরক্ষিত ২৩ আসন পাওয়ার যোগ্য বলে ঘোষণা করায় পাকিস্তানের দুর্বল জোট সরকার আরও চাপে পড়ল।
Published : 12 Jul 2024, 08:20 PM
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই পার্লামেন্টে সংরক্ষিত ২৩টি আসন পাওয়ার যোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার আদালতের এ রায় ঘোষণার ফলে পাকিস্তানের দুর্বল জোট সরকার আরও চাপে পড়ল।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দল নির্বাচনে নিষিদ্ধ থাকায় স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতারা।
তারা পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেলেও নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছিল যে, সংরক্ষিত ৭০টি আসনের ভাগ পাবে না স্বতন্ত্ররা। এইসব আসন কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নির্ধারিত।
ফলে পার্লামেন্টের ওই আসনগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে বেশির ভাগ আসনই পেয়েছিল পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন জোট সরকারের দলগুলো।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের আদেশ পড়ে শোনানোর সময় প্রধান বিচারপতি কাজি ফায়েজ ঈসা বলেন, “একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে পিটিআই সংরক্ষিত আসন পাওয়ার যোগ্য। এ আদেশের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন আদালতের ১৩ সদস্যের বেঞ্চের ৮ বিচারক। আর বিপক্ষে ছিলেন ৫ জন “
যদিও পিটিআই পার্লামেন্টে ২৩টি সংরক্ষিত আসন পেলেও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এর কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে এতে ইমরান খানের সমর্থকদের রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী হবে।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে আসনসংখ্যা ৩৩৬টি। নির্বাচনি আইনানুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য ৭০ টি সংরক্ষিত আসন আছে। এর মধ্যে ৬০টি নারী ও ১০টি অ-মুসলিমদের জন্য সংরক্ষিত।
পাকিস্তানের সর্বশেষ নির্বাচনের পর পিটিআই নেতা-কর্মীরা কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন নির্বাচন কমিশন ও সেনাপন্থি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে।
নির্বাচন কমিশন এবং সেনাবাহিনী উভয়ই এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো প্রশ্ন তুলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ এমনকি ইউরোপীয় দেশগুলোও নির্বাচন নিয়ে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করে দেখা আহ্বান জানায় ইসলামাবাদকে। তবে পাকিস্তান এ আহ্বান আজ পর্যন্ত নাকচ করে এসেছে।