পূর্ব ইউক্রেইনের লবণখনির শহর সোলেদারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করেছে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদের গোষ্ঠী ওয়াগনার গ্রুপ। কিন্তু এর আগে কিইভ দাবি করেছিল তাদের সেনারা শহরটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি যাচাই করতে পারেনি এবং তাদের ধারণা শহরটির কেন্দ্রস্থলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শুরু হওয়া যুদ্ধের মিমাংসা বুধবার শেষ খবর পর্যন্ত হয়নি।
সোলেদারের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে তা রাশিয়ার জন্য সুবিধাজনক হবে। কারণ, রুশ বাহিনীর লক্ষ্য সোলেদারের কাছের শহর বাখমুত দখলে নেওয়া। আর বাখমুত দখলে নিতে পারলে সেটি হবে ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পথে রাশিয়ার জন্য বড় ধরনের অগ্রগতি।
রুশ বার্তা সংস্থাগুলোর খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বলেছেন, “সোলেদারের পুরো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ওয়াগনার ইউনিট। শহরের কেন্দ্রস্থলে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে লড়াই চলছে।”
বিস্তারিত আর না জানিয়ে তিনি বলেছেন, “আগামীকাল বন্দিদের সংখ্যা ঘোষণা করা হবে।”
সোলেদার ও এর বিশাল লবন খনিগুলোর দখল রাশিয়ার জন্য সামরিক ও বাণিজ্যিকভাবে মূল্যবান হবে, কিন্তু শহরটির ভেতরের ও আশপাশের পরিস্থিতি এখনও অনিশ্চিত বলে ধারণা রয়টার্সের।
এর আগে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, চার দিন ধরে রুশ বাহিনী এবং ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে যোদ্ধারা এগিয়ে আসার পর এখন সোলদারের বেশিরভাগই সম্ভবত তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।
যদিও প্রিগোজিন দাবি করেছেন, সোলেদারের পুরো অঞ্চল ওয়াগনার বাহিনী নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে কিন্তু শহরের কেন্দ্রস্থলে লড়াই চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি; তাতে সেখানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আরআইএ পরে এক প্রতিবেদনে জানায়, ‘তীব্র লড়াইয়ের’ পর ওয়াগনার গোষ্ঠী সোলেদারের লবন খনিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
ইউরোপের বৃহত্তম এ লবন খনিগুলোর অবস্থান শহরের প্রান্তের দিকে। প্রিগোজিন সম্ভবত ওই এলাকার খনিগুলোর ওপর ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চান বলে মন্তব্য করেছে ওয়াশিংটন।
আরও খবর: