গাড়ির সমুদ্রে ডুবে আছে ভারতের মহাকুম্ভ মেলা। যানজটের কারণে ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতেও প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা সময় লাগছে।
Published : 10 Feb 2025, 06:07 PM
ভারতের মহাকুম্ভে যোগ দিতে যাওয়ার পথে তীব্র যানজটে আটকে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। প্রয়াগরাজে ঢোকার আগেই ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা জুড়ে যানজট লেগেছে।
৪৮ ঘণ্টা গাড়ি তীব্র যানজটে আটকে থাকছে বলে দাবি অনেকের। এমনকি, যানজটের ফলে মাত্র ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা সময় লাগছে বলেও জানাচ্ছেন অনেকে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি লিখেছে, বসন্ত পঞ্চমীর ‘পুণ্য স্নান'-এর পর ভিড় কমার সম্ভাবনা থাকলেও বাস্তবে পরিস্থিতি উল্টো হয়েছে। হাজার হাজার ভক্ত পুণ্যস্নানে অংশ নিতে যাচ্ছেন, ফলে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন।
ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাত্রীবাহি গাড়ি , বাস এখন কুম্ভমুখী। বারাণসী, লক্ষ্ণৌ এবং কানপুর থেকে প্রয়াগরাজের রুটে ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট হচ্ছে।
প্রয়াগরাজ শহরের ভেতরেও প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। এত ভিড় সামলাতে প্রয়াগরাজ সঙ্গম রেলওয়ে স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, প্রয়াগরাজ সঙ্গম স্টেশনের বাইরেও প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে যাত্রীরা স্টেশন থেকে বের হতে পারছেন না।
উত্তর মধ্য রেলওয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রয়াগরাজ জংশন স্টেশনে একমুখী ট্র্যাফিক ব্যবস্থা চালু করেছে।
অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ট্র্যাফিক) কুলদীপ সিং জানিয়েছেন, মেলা এলাকায় পৌঁছনোর চেষ্টায় প্রচুর সংখ্যক গাড়ি থাকায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি। মহা কুম্ভমেলা এলাকার যতটা সম্ভব কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করছেন যাত্রীরা। এ কারণে দীর্ঘ জ্যাম সৃষ্টি হচ্ছে।
ওদিকে, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব প্রয়াগরাজের যানজট নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারের সমালোচনা করেছেন। তার দাবি, প্রয়াগরাজের যানজটের জন্য শহরে অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছতে পারছে না, জরুরি পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
মহাকুম্ভ মেলা শেষ হাতে আর হাতে গোনা ১৬ দিন বাকি। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে এই বিশাল আধ্যাত্মিক উৎসব।
গত ১৩ জানুয়ারিতে এ মেলা শুরু হওয়ার পর উত্তর প্রদেশ সরকারের হিসাবমতে, ৪২ কোটিরও বেশি ভক্ত এরই মধ্যে সঙ্গম ঘাটে পবিত্র স্নান সেরে নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও লাখো লাখো ভক্ত পূণ্যস্নানের জন্য ভিড় জমাচ্ছেন এই ঘাটে।