মার্কিন ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের চেষ্টা চালাবে রাশিয়া

কৃষ্ণ সাগরের আকাশে মঙ্গলবার রাশিয়ার এসইউ ২৭ জঙ্গিবিমানের সঙ্গে সংঘর্ষে একটি মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন বিধ্বস্ত হয়।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2023, 05:51 PM
Updated : 15 March 2023, 05:51 PM

রাশিয়া জানিয়েছে, তারা কৃষ্ণ সাগরে বিধ্বস্ত হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের চেষ্টা চালাবে।

বিশালাকারের মার্কিন এমকিউ-৯ রিপার নজরদারি ড্রোনটি মঙ্গলবার কৃষ্ণসাগরে পড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়ার জঙ্গি বিমানের ধাক্কায় ড্রোনটি অকেজো হয়ে পড়ায় দূর থেকে এই ড্রোন পরিচালনা করা পাইলটরা এটিকে কৃষ্ণসাগরে ফেলে দিতে বাধ্য হয়।

তবে মস্কো ড্রোনটি ধ্বংসের এমন দাবি অস্বীকার করেছে। বুধবার এই ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ খোঁজার চেষ্টার কথা রাষ্ট্রীয় টিভিতে জানিয়েছেন রাশিয়ার সিকিউরিটি কাউন্সিলের সেক্রেটারি নিকোলাই পাত্রুশেভ।

রোশিয়া-১ টিভি চ্যানেলে তিনি বলেন, “এটি আমরা উদ্ধার করতে পারব কিনা তা আমি জানি না। কিন্তু একাজ করতেই হবে। আমরা অবশ্যই এটা করব।”

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রও ড্রোনটির অবস্থান শনাক্ত করতে চায়। এটি কখনো উদ্ধার করা সম্ভব না হতে পারে- এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।

তবে কিরবি বলেন, রাশিয়া যদি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারও করে তাহলেও তারা যাতে এটা থেকে খুব বেশি গোয়েন্দা তথ্য পেতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ পূর্বপ্রস্তুতি নিচ্ছে।

এবিসি নিউজের আমেরিকা’স মর্নিং নিউজ প্রোগ্রামে কিরবি বলেন, ড্রোনটি অনেক গভীর পানিতে পড়ায় এটি উদ্ধার করা কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং হবে।

ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও এর পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে আগে থেকেই রাশিয়ার উত্তেজনার মধ্যে ঘি ঢেলেছে মার্কিন ড্রোন বিধ্বস্তের এই ঘটনা।

ড্রোন বিধ্বস্তের ঘটনায় রাশিয়ার সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রুশ যুদ্ধবিমানের কর্মকাণ্ড ছিল বেপরোয়া, অপেশাদার।

ওদিকে রাশিয়া অভিযোগ করে বলেছে, মার্কিন ড্রোনটি ইউক্রেইনের জন্য তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ওই এলাকায় নজরদারি করছিল। 

বুধবার মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়, ড্রোনটি আকাশে বেশ কয়েকবার ‘তীক্ষ্ণ মোড়’ নেওয়ার পর বিধ্বস্ত হয়।

অন্যদিকে, ওয়াশিংটনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভ বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনটি ইচ্ছা করে উস্কানিমূলকভাবে রাশিয়ার আকাশসীমায় উড়ানো হয়েছিল।”

বিবিসি জানায়, ইউক্রেইনে রাশিয়ার পুরোদস্তুর আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য নজরদারি বিমান মিশন জোরদার করেছে। যদিও এ অভিযান সবসময় আন্তর্জাতিক আকাশসীমাতেই চালানো হয়।