ইউনকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরানো হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখন নির্ভর করছে দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালতের ওপর।
Published : 14 Dec 2024, 08:26 PM
দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতারা শনিবার দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় স্বল্প সময়ের জন্য সামরিক আইন জারি করা প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অভিশংসন করতে পেরেছেন।
ইউন এখন তার দায়িত্ব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত হয়েছেন এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী হান দক-সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট এখন দেশটি পরিচালনা করছেন।
তবে ইউনকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরানো হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখন নির্ভর করছে দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালতের ওপর। ছয় মাসের মধ্যে তারা এ বিষয়ে রায় জানাবে।
সোমবার স্থানীয় সময় সকালে সাংবিধানিক আদালত বসবে। এ সময় আদালত ইউনের অভিশংসন বিচারের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
আদালত শুনানির তারিখ নির্ধারণ করবেন। তবে শুনানির সময় ইউন আদালতে উপস্থিত থাকবেন কি না, তা পরিষ্কার হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আদালতের নয় সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিলের অন্তত ছয় জন যদি ইউনের অভিশংসনের পক্ষে রায় দেন, তাহলে স্থায়ীভাবে প্রেসিডেন্ট পদ হারাবেন তিনি। সেক্ষেত্রে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে আগাম নির্বাচন দিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে দক্ষিণ কোরিয়াকে।
আর সাংবিধানিক আদালত যদি তার অভিশংসনের বিপক্ষে রায় দেয়, সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুরো ক্ষমতা ফিরে পাবেন ইউন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় টানা অভিশংসিত হতে যাওয়া দ্বিতীয় রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট ইউন। এর আগে ২০১৭ সালে আরেক রক্ষণশীল প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন হাই অভিংশনের মাধ্যমে তার দায়িত্ব থেকে অপসারিত হয়েছিলেন।
গত ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে’ সমূলে উৎপাটনের কথা বলে হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন ইউন। তার এ ঘোষণায় পুরো দক্ষিণ কোরিয়া স্তম্ভিত হয়ে যায়।
পরে জনতা ও আইনপ্রণেতাদের প্রবল বিরোধিতার মুখে সামরিক আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট।
কিন্তু তার এই পদক্ষেপে দক্ষিণ কোরিয়া কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। বিরোধী দলের অভিশংসন প্রস্তাবের মুখে পড়েন ইউন।
গত শনিবার ইউন বিরোধীদল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে প্রথম দফা অভিশংসন উদ্যোগ থেকে রক্ষা পান। তার ক্ষমতাসীন দল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টের ওই অধিবেশন বয়কট করায় রক্ষা পান ইউন।
আরও পড়ুন:
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন আনুষ্ঠানিকভাবে বরখাস্ত
কোরিয়া সংকট: প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনে অবশেষে সায় মিলল পার্লামেন্টে