রাশিয়াকে কুর্স্ক ছেড়ে দিতে রাজি ইউক্রেইন, শর্ত দিয়ে বললেন জেলেনস্কি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রাশিয়াকে আলোচনায় বসাতে পারলে ইউক্রেইন কুর্স্কে অধিকৃত অঞ্চল মস্কোকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে রাশিয়া-অধিকৃত ইউক্রেইনীয় অঞ্চল নেবে।

ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেইন-অধিকৃত কুর্স্ক অঞ্চল রাশিয়াকে ফেরত দেবেন তিনি। তবে এর জন্য শর্ত হচ্ছে, ইউক্রেইনের সঙ্গে রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে।

আর কেবল তাই নয়, কুর্স্কের বদলে ইউক্রেইনকে ফেরত দিতে হবে রাশিয়া-অধিকৃত ভূখণ্ডও। মঙ্গলবার ব্রিটিশ ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি এসব শর্ত দেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা এক অঞ্চলের পরিবর্তে অন্য এলাকা চাই।’’

ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জানান, তাদের কাছে সব অঞ্চলই গুরুত্বপূর্ণ। সেকারণে কোনও অঞ্চলের ক্ষেত্রেই অগ্রাধিকার নেই। আলোচনার মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে ভূমি বিনিময়ের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে চান জেলেনস্কি।

রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুর্স্ক অঞ্চলে আচমকা ইউক্রেইনের সেনা ও কিইভপন্থি যোদ্ধারা ঢুকে পড়ে হামলা চালাতে শুরু করেছিল গতবছর অগাস্টে। কিইভ শত শত সেনাকে সাঁজোয়া যান, গোলাবারুদ এবং ড্রোন সুসজ্জিত করে রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুর্স্ক অঞ্চলে পাঠায়।

অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে রুশ সেনাদের তীব্র লড়াইও হয়। লড়াইয়ে ইউক্রেইনের সেনারা সেখানকার বেশ কিছু এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।

ওদিকে, রাশিয়া ২০১৪ সালে ইউক্রেইনের কাছ থেকে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের দখল নেয়। তার পর ২০২২ সালে সেপ্টেম্বরে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক ও জাপোরিজিয়া-সহ মোট চারটি এলাকায় গণভোট করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

রুশ বাহিনী গতবছর ইউক্রেইনের ভূখন্ডের বাড়তি ৩, ৬০০ বর্গকিলোমিটার দখলে নেওয়ার পর এখন তাদের দখলে আছে দেশটির মোট ২০ শতাংশ ভূখন্ডের নিয়ন্ত্রণ। অন্যদিকে, ইউক্রেইনের সেনাদের দখলে আছে রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলের প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকার নিয়ন্ত্রণ।

ওদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কয়েকদিন আগেই জানিয়েছিলেন, যুদ্ধে মানুষের মৃত্যু তিনি চান না। যুদ্ধ থামানোর উদ্যোগ নেবেন। তারপরই তিনি বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেইন যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন।

এ ব্যাপারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র অগ্রগতি অর্জন করছেন এমনটি মনে করেন বলেও গত রোববারই জানিয়েছেন ট্রাম্প।