যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া অবৈধ অভিবাসীদের যেসব দেশ ফেরত নিতে চাইবে না, তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করবেন হবু মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
Published : 15 Dec 2024, 05:16 PM
অবৈধ অভিবাসীদের যেসব দেশ ফেরত নিতে চাইবে না, সেসব দেশের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ম্যাগাজিনে ২০২৪ সালের বর্ষসেরা ব্যক্তি নির্বাচিত হওয়ার পর দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ হুমকি দেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে গত নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর যে প্রতিশ্রুতি ট্রাম্প দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নেই এই কড়া পদক্ষেপ নেবেন বলে সতর্ক করলেন তিনি।
ট্রাম্প বলে,অভিবাসীরা যেসব দেশ থেকে এসেছে, সেইসব দেশে তাদেরকে ফেরত পাঠাবেন। যারা তাদেরকে ফেরত নিতে চাইবে না তাদের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করা হবে।
“আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদেরকে (অবৈধ অভিবাসী) বের করে দিতে চাই। প্রতিটি দেশকেই তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। তারা যদি অভিবাসীদের ফিরিয়ে না নেয়, তাহলে আমরা সেসব দেশের সঙ্গে ব্যবসা করব না। তারা যখন পণ্য পাঠাবে, তখন তাদেরকে চড়া শুল্ক দিতে হবে। আমাদের সঙ্গে তাদের ব্যবসা করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে,” বলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারের সময় অভিবাসী ইস্যুতে তার অবস্থান স্পষ্ট করে তুলে ধরে বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে গণহারে অভিবাসী বিতাড়নের সবচেয়ে বড় কর্মসূচি নেবেন।
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের কাজও শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি জারি করবেন। আর অবৈধ অভিবাসী তাড়াতে সামরিক বাহিনীও ব্যবহার করবেন।
গত বৃহস্পতিবার টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আবার সেই অঙ্গীকারের পুনরাবৃত্তি করে বলেছেন, অভিবাসী তাড়াতে তিনি সেনাবাহিনীকে কাজে লাগাবেন। তবে দেশের আইনের সীমার মধ্যে থেকেই তা করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘পোস্ট কমিটাস অ্যাক্ট’ অনুযায়ী, দেশের ভেতরে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিন্তু ট্রাম্প বলেন, দেশে আগ্রাসন হলে এই আইনে সেনাবাহিনী ব্যবহারে কোনও বাধা থাকবে না। আমি এটাকে (অবৈধ অভিবাসী) আমাদের দেশে আগ্রাসন বলেই মনে করি।
প্রয়োজন পড়লে আটককেন্দ্রও বানাবেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য যা করতে হয় করব। আমি কোনও পরোয়া করি না। যাই ঘটুক আমি তাদের বের করবই। যদি নতুন আটককেন্দ্রও প্রয়োজন হয়, আমি সেটি পুরোপুরি আইনের সীমার মধ্যে থেকেই করব।”
“তবে আশা করি, আমাদের এটার (আটক কেন্দ্র) খুব বেশি প্রয়োজন হবে না। কারণ আমি তাদের (অভিবাসী) ফেরত পাঠাতে চাই। আমি চাই না, তারা আগামী ২০ বছর ক্যাম্পে (আটককেন্দ্র) বসে থাকুক।’’