ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে সেখানে রাশিয়ার বাহিনীগুলোর সঙ্গে ২৬১ বার লড়াইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
Published : 17 Feb 2025, 10:51 AM
কিইভের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রুশ সেনারা ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলে তাদের আক্রমণ তীব্রতর করে তুলেছে। যুদ্ধ শেষ করার আলাপ যত ঘনিয়ে আসবে মস্কো তাদের আক্রমণের গতি ও তীব্রতা ততো বাড়িয়ে তুলবে বলে অনুমান করেছিলেন নেটোর কর্মকর্তারা; বাস্তবেও তেমনটি ঘটছে বলে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
রোববার কিইভ জানিয়েছে, প্রধান আক্রমণগুলো কেন্দ্রীভূত ছিল ক্ষতিগ্রস্ত লজিস্টিক হাব পোকরোভস্কের কাছে।
ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার ২৪ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে সেখানে রাশিয়ার বাহিনীগুলোর সঙ্গে ২৬১ বার লড়াইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
রয়টার্স লিখেছে, এটি চলতি বছরে রেকর্ড করা একদিনে সবচেয়ে বেশি লড়াইয়ের ঘটনা। এটি আগের দিন তাদের জানানো দৈনিক ১০০ লড়াইয়ের দ্বিগুণেরও বেশি।
শনিবার রাতে ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনীর ‘ডিপস্টেট’ ব্লগ লিখেছে, “যুদ্ধক্ষেত্রে ২০২৫ সালের মধ্যে আজ (শনিবার) ছিল সবচেয়ে কঠিনতম দিন।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প শান্তির জন্য চাপ দিচ্ছেন আর আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ইউক্রেইন যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্য নিয়ে সৌদি আরবে মার্কিন ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা বৈঠকে বসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সময়টিতেই যুদ্ধক্ষেত্রে আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়েছে রাশিয়া।
রয়টার্স জানায়, রোববার রাতে ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনীর আরেকটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় লড়াইয়ের সংখ্যা ১১৭তে নেমে এসেছে। পোকরোভস্ক সেক্টরে ৩৮টি আক্রমণ থেকে শুরু হওয়া লড়াই এখনও অব্যাহত আছে।
শনিবার রুশ বাহিনী পোকরোভস্কের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় বেরেজিভকা গ্রাম দখলে নিয়েছে বলে জানিয়েছে।
ইউক্রেইনের প্রতিবেদনে ওই গ্রামের উল্লেখ না থাকলেও রোববার সন্ধ্যায় দেওয়া তাদের প্রতিবেদনে ওই এলাকায় যে কয়টি এলাকা আক্রমণের মুখে পড়েছে তার মধ্যে বেরেজিভকার সংলগ্ন এলাকা ভোদিয়ান দ্রা আছে বলে জানিয়েছে।
২০২৪ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলে রুশ বাহিনী ধারাবাহিকভাবে এগিয়েছে। তখন তারা গ্রামের পর গ্রাম দখল করার কথা ঘোষণা দিয়েছে। ইউক্রেইনের সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসে লড়াইয়ের তীব্রতা কমে যায়।
রাশিয়ার বাহিনীগুলো পোকরোভস্কের দক্ষিণে বিশাল অঞ্চল দখল করে নিয়েছে। এখন নগরীটির দক্ষিণপশ্চিম এলাকাগুলোর দখল নেওয়ার জন্য তারা আক্রমণ চালাচ্ছে। এতে ইউক্রেইনীয় বাহিনীর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটির সরবরাহ লাইন হুমকির মুখে পড়েছে। দক্ষিণপশ্চিম এলাকাগুলোর দখল নিতে পারলে রাশিয়ার বাহিনীগুলোর জন্য আরও আক্রমণের পথ খুলে যাবে।