গাজা এখন সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ। টানা ছয়দিনের বিমান হামলায় সেখানকার মানবিক পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর দিকে মোড় নিচ্ছে।
Published : 13 Oct 2023, 12:36 AM
ইসরায়েলের অবরোধে খাবার, পানি ফুরিয়ে আসতে থাকায় গাজায় ‘ভয়াবহ’ পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
গাজা এখন সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ। টানা ছয়দিনের বিমান হামলায় সেখানকার মানবিক পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর দিকে মোড় নিচ্ছে। গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানকার অধিবাসীরা এখন জেনারেটরের ওপর নির্ভর করছে।
ইসরায়েল বলেছে, হামাস জিম্মি করা ইসরায়েলিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পানি দেওয়া হবে না। গত শনিবার হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে অন্তত দেড়শ জনকে ধরে নিয়ে জিম্মি করেছে।
বিবিসি জানায়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) চিফ অব স্টাফ এই প্রথম হামাসের হামলা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে, গত ৭ অক্টোবরের হামলা ঠেকাতে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করেছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসকে নির্মূলের হুমকি দিয়ে বলেছেন, “হামাস আইএস এর মতো। আমরা হামাসকে ধ্বংস করব। যেমন করে বিশ্ব আইএস-কে ধ্বংস করে দিয়েছে।”
গাজা উপত্যকা হামাসের নিয়ন্ত্রণে আছে। তাই সেখানে বিমান হামলা শুরুর পরই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজাকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করার ঘোষণা দেন।
বিশ্বের জনবহুল এলাকাগুলোর একটি গাজা। ১৪০ বর্গমাইলের এ ভূখন্ডে বাস করেন ২৩ লাখ মানুষ। এসব মানুষের অর্ধেকই চরম খাদ্যসংকটে থাকেন। জ্বালানি, বিদ্যুৎ, পানি এবং খাবারের জন্য ইসরায়েলের ওপর নির্ভর করতে হয় গাজাবাসীকে।
ইসরায়েলের অবরোধের কারণে এখন গাজায় এসবকিছুর সরবরাহই দুরূহ পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা গাজার অধিবাসীদের জন্য নিরাপদ করিডোরের ব্যবস্থা করতে ইসরায়েল এবং মিশরের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।