এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় বৈধভাবে সমলিঙ্গের দম্পতি পাওয়া প্রথম দেশ হল থাইল্যান্ড।
Published : 23 Jan 2025, 03:44 PM
থাইল্যান্ডে আইনি বৈধতা পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো কয়েকশ সমলিঙ্গ জুটির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় বৈধভাবে সমলিঙ্গের দম্পতি পাওয়া প্রথম দেশ হল থাইল্যান্ড।
রয়টার্স জানায়, দেশটির এলজিবিটি গোষ্ঠীগুলো তাদের দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়ন হওয়ার এ দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে এক হাজারেরও বেশি বিয়ে নিবন্ধন করার লক্ষ্য নিয়েছে। থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট এলজিবিটিকিউদের প্রতীক রঙধনু পতাকা উড়িয়েছে আর শপিং কমপ্লেক্সগুলো সমকামীদের বড় মিছিল করার পরিকল্পনা করেছে।
এ দিন রাজধানী ব্যাংককের জাঁকজমকপূর্ণ একটি বিপণীবিতানে সমলিঙ্গ জুটিদের গণবিবাহের আয়োজন করা হয়। এখানে দুইশরও বেশি জুটি সাদা পোশাক, থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, পশ্চিমা স্যুট ও পুলিশের আনুষ্ঠানিক পোশাক পরে বিয়ে করতে আসেন।
প্লয়নাপ্লাস চিরসুকোন (৩৩) নামের একজন নারী কোয়ানপর্ন কংপ্যাচ নামের আরেক নারীকে বিয়ে করেন। তারা বিয়ের নিবন্ধনপত্র পাওয়ার পর ছবি তোলেন।
চিরসুকোন বলেন, “স্কুলে আমাদের প্রথম পরিচয় হয়েছিল, তারপর থেকে ১৭ বছরে অনেক বাধার মুখোমুখি হয়েছি আমরা। ভবিষ্যতে আরও সমতা দেখতে পাবো বলে আমরা আশা করছি।”
বৃহস্পতিবার সমলিঙ্গের বিয়ে নিবন্ধনের সংখ্যা ১৪৪৮ এ পৌঁছাবে বলে আশা করছে দেশটির এলজিবিটি গোষ্ঠীগুলো। এই প্রতীকি সংখ্যাটি থাইল্যান্ডের সিভিল কোডের ওই অংশটি নির্দেশ করে যেখানে স্বামী-স্ত্রী শব্দবন্ধটি ‘দম্পতি’ শব্দ দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
সংগঠকরা ও তাদের সঙ্গে থাকা সহযোগী সংস্থাগুলো, এ দিন থাইল্যান্ডজুড়ে সমলিঙ্গের যে বিয়েগুলো নিবন্ধিত হবে সেগুলোর তথ্য সংগ্রহ করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জমা দিয়ে, থাইল্যান্ডকে একদিনে সবচেয়ে বেশি সমলিঙ্গ বিয়ের অধিকারী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার অনুরোধ জানানোর পরিকল্পনা করেছে।
থাইল্যান্ডে আগে থেকেই লিঙ্গ পরিচয় এবং যৌন অভিমুখতার উপর ভিত্তি করে বৈষম্য আইনত নিষিদ্ধ ছিল। যে কারণে দেশটি এলজিবিটিকিউ প্লাসদের কাছে অন্যতম বন্ধুসুলভ দেশ বলে পরিচিত। সেখানকার সমাজ ব্যবস্থাও সমলিঙ্গ জুটিতে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে ছিল।