প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরোধিতার মধ্যেই জাপান বৃহস্পতিবার থেকে শোধন করা তেজস্ক্রিয় পানি প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলা শুরু করেছে।
Published : 27 Aug 2023, 08:38 PM
জাপান সরকার বলেছে, ফুকুশিমা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারপাশের সাগরের পানি পরীক্ষায় তেজস্ক্রিয়তার কোনও মাত্রা শনাক্ত হয়নি।
প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরোধিতার মধ্যেই জাপান বৃহস্পতিবার থেকে শোধন করা তেজস্ক্রিয় পানি প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলা শুরু করেছে।
দুই বছর আগে জাপান এই পরিকল্পনা ঘোষণার পর থেকেই সেদেশের জেলে এবং সামুদ্রিক খাবার ব্যবসায় নিয়োজিতরা-সহ ব্যাপক অঞ্চলজুড়ে মানুষ জীবিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিল। তাদের আশঙ্কা, তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ফেললে অনেকে সামুদ্রিক খাবার কেনা বন্ধ করে দেবে।
জাপান এখন এই উদ্বেগ দূর করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আগামী তিনমাস ধরে তারা সাগরের পানি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
২০১১ সালের ভূমিকম্প ও সুনামিতে ফুকুশিমা কেন্দ্রটি ধ্বংস হওয়ার পর ১৩ লাখ ৪০ হাজার টন তেজস্ক্রিয় পানি সঞ্চিত করে রেখেছে জাপান। এই পানিই আগামী ৩০ বছর ধরে সাগরে ফেলবে তারা।
জাপান বলছে তাদের এই পানি নিরাপদ। জাতিসংঘের আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ’ও এই পানি সাগরে ছাড়ার জন্য নিরাপদ বলে রায় দিয়েছে। এরপরই জাপান এই তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ফেলা শুরু করে। তবে সমালোচকরা বলছেন, পানি সাগরে ফেলা বন্ধ করা উচিত।
দূষিত ওই পানিকে শোধন করে এর বেশিরভাগ তেজস্ক্রিয় উপাদান দূর করার চেষ্টা করছে জাপান। পানিতে থাকা ট্রিটিয়ামকে পাতলা করে বিপজ্জনক মাত্রার নিচে নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয় বলছে, ফুকুশিমা কেন্দ্রের কাছের ১১ টি জায়গা থেকে নেওয়া নমুনায় ট্রিটিয়ামের মাত্রা শনাক্তের মাত্রার চেয়েও কম দেখা গেছে। ফলে এই পানি মানবস্বাস্থ্য কিংবা পরিবেশের ওপর কোনও বিরূপ প্রভাব ফেলবে না।
চীন তেজস্ক্রিয় পানি সগরে ফেলার জাপানের পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানানোর পর টোকিও সাগরের পানি পরীক্ষার এই ফলাফল জানাল।
জাপানের পানি সাগরে ছাড়ার পদক্ষেপকে স্বার্থপর এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আখ্যা দিয়েছিল চীন। জাপানের সব সামুদ্রিক খাবার আমদানি চীন বন্ধ করে দেবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছিল।