Published : 26 Sep 2024, 04:36 PM
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল শহর নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামসের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে চলা ফেডারেল দুর্নীতির তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে।
প্রায় তিন বছর আগে অপরাধ দমনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন অ্যাডামস (৬৪) । কিন্তু তিনি ও তার বৃত্তের শীর্ষ কর্মকর্তাদের একটি চক্র একাধিক ফেডারেল দুর্নীতির অভিযোগের অংশ হিসেবে ক্রমবর্ধমান তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন।
দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হলে নিউ ইয়র্ক নগরীর এ পর্যন্ত ১১০ জন মেয়রের মধ্যে দায়িত্বে থাকা অবস্থায় এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া প্রথম মেয়র হবে অ্যাডামস, জানিয়েছে রয়টার্স।
বুধবার রাতে এক ভিডিও বিবৃতিতে ডেমোক্র্যাট এই রাজনীতিক দাবি করেছেন, মামলা হলে তা ‘মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে করা সম্পূর্ণ ভুয়া অভিযোগ’ হবে। তিনি দায়িত্বপালনরত অবস্থায়ই মামলার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রত্যয় জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমি জানি আমি নির্দোষ। আমি যদি অভিযুক্ত হই তাহলে আমি আশু বিচারের অনুরোধ জানাবো যেন নিউ ইয়র্কাররা সত্যটি জানতে পারে।”
নিজের ভিডিও বিবৃতিতে নিউ ইয়র্কবাসীকে ‘ধৈর্য ধরার’ ও তার জন্য ‘প্রার্থনা’ করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
“আমার শক্তির ও উদ্দীপনার প্রতি আউন্স দিয়ে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করবো আমি,” বলেছেন তিনি।
বহু প্রভাবশালী রাজনীতিক ও কর্মকর্তা অ্যাডামসকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন, কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে মেয়রের পদে থেকেই অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, অ্যাডামস বৃহস্পতিবার প্রাথমিকভাবে আদালতে হাজির হবেন, তখন ফেডালের কৌঁসুলিরা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো তুলে ধরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক বছর আগে ফেডারেল গোয়েন্দারা অ্যাডামসের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস জব্দ করেছিল ও তার প্রধান তহবিল সংগ্রহকারী ব্রিয়ানা সাগসের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল।
পরে জানা যায়, ম্যানহ্যাটনের মার্কিন অ্যাটনি দপ্তর তদন্ত করে দেখছে, অ্যাডামের ২০২১ সালের মেয়র নির্বাচনের প্রচারণা টিম তাদের প্রচারণা শিবিরে অবৈধ অনুদান পেতে তুরস্ক সরকারের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিল না।
সোমবার নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, কৌঁসুলিরা ইসরায়েল, চীন, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া ও উজবেকিস্তান সম্পর্কিত তথ্য চেয়ে অ্যাডামসের প্রচারণা শিবির ও তার দপ্তর বরাবর সমন জারি করেছিল।