ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, খান ইউনিস এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ভূগর্ভস্থ টানেল থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
Published : 21 Aug 2024, 11:03 AM
ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজার খান ইউনিস অঞ্চল থেকে ছয় জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ও দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর।
মঙ্গলবার দেওয়া বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, সোমবার রাতে খান ইউনিস এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি ভূগর্ভস্থ টানেল থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। এই অভিযানে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির অভ্যন্তরীন গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতও অংশ নেয়। এসব জিম্মিদের পরিবারকে ঘটনার বিষয়ে জানানো হয়েছে।
নিহত এসব জিম্মির সবাই ইসরায়েলি নাগরিক হলেও তাদের একজন যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, অভিযান চলাকালে তাদের সেনারা ১০ মিটার (৩৩ ফুট) গভীর একটি টানেল শ্যাফট খুঁজে পায় আর সেটি ধরে একটি ‘ভূগর্ভস্থ টানেল রুটে’ পৌঁছে, সেখানেই জিম্মিদের মৃতদেহগুলো পাওয়া যায়।
‘বহুতল ভবন ও নির্মাণাধীন একটি এলাকায় দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা লড়াইয়ের’ পর জিম্মিদের এসব মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয় বলে জানিয়েছে তারা।
এই ছয় ইসরায়েলির সবাইকে গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার সীমান্ত সংলগ্ন দক্ষিণ ইসরায়েলের নির ওর কিবুতজ (আবাসিক এলাকা) ও নিরিম কিবুতজ থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে রেখেছিল আক্রমণকারী ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।
রয়টার্স জানিয়েছে, অধিকাংশ জিম্মির পরিবারের প্রতিনিধিত্বকারী ‘হোস্টেজেস ফ্যামিলি ফোরাম’ ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দেওয়া এ খবরকে স্বাগত জানিয়েছে, কিন্তু তারা গাজার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ হামাসের সঙ্গে একটি চুক্তি করে জিম্মিদের মুক্তির ব্যবস্থা করার জন্য ইসরায়েলের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলেছে, বাকি ১০৯ জন জিম্মির আশু মুক্তি একটি সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমেই শুধু অর্জন করা সম্ভব হতে পারে।
“ইসরায়েলের সরকারকে মধ্যস্থতাকারীদের সহায়তায় এখন টেবিলে থাকা চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে অবশ্যই তাদের ক্ষমতার মধ্যে থাকা সবকিছু করা উচিত,” এক বিবৃতিতে বলেছে ‘হোস্টেজেস ফ্যামিলি ফোরাম’।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এখন মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার চুক্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন।