কোম্পানিটি ‘ক্রিসেন্ট স্পেস’ নামে একটি চন্দ্রবিষয়ক অবকাঠামো তৈরি করেছে, যাদের প্রথম প্রকল্প চাঁদ থেকে পৃথিবীতে স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক সংযোগ দেওয়া।
Published : 29 Mar 2023, 05:47 PM
চাঁদের ওপর মানুষের উপস্থিতি দীর্ঘমেয়াদী হলে এর জন্য প্রয়োজন পড়বে নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ ব্যবস্থার। আর সেই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই কাজ করছে অ্যারোস্পেস কোম্পানি ও সমরাস্ত্র নির্মাতা লকহিড মার্টিন।
মার্কিন এই কোম্পানিটি ‘ক্রিসেন্ট স্পেস’ নামে একটি চন্দ্রবিষয়ক অবকাঠামো তৈরি করেছে, যাদের প্রথম প্রকল্প চাঁদ থেকে পৃথিবীতে স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক সংযোগ দেওয়া।
‘পারসেক’ নামের এই প্রকল্পের মাধ্যমে নভোচারীরা বিভিন্ন সরঞ্জামে সংযোগ বা নিজ বাড়িতে সঙ্গে কথা বলার সময় নিরবিচ্ছিন্ন স্যাটেলাইট ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। আর তাদেরকে ন্যাভিগেশন সংশ্লিষ্ট সহায়তাও দেবে নতুন এই ব্যবস্থা।
এই প্রযুক্তি নভোচারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ও মহাকাশযানের গতিবিধি বদলাতে সহায়তা করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
লকহিড মার্টিনের ব্যাখ্যা অনুসারে, এই প্রকল্প চন্দ্রপৃষ্ঠে থাকা নভোচারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। আর পারসেকের বিভিন্ন ‘নোড’ চাঁদে জিপিএসের সমতুল্য একটি ব্যবস্থা তৈরি করবে, যা নভোচারীদের নিজস্ব ঘাঁটির সঠিক অবস্থান সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেবে।
উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, এই ব্যবস্থায় কোনো রোভার নভোযান হয়তো বিপজ্জনক কোনো গর্তে না পড়েই নিজের গন্তব্যে ফিরে আসার সঠিক পথ সম্পর্কে জানতে পারবে।
ক্রিসেন্ট প্রকল্পের প্রথম পারসেক নোডগুলো কার্যকর হতে পারে ২০২৫ সাল নাগাদ। আর এতে স্যাটেলাইট সুবিধা দেবে লকহিড মার্টিন। এ ছাড়া, কোম্পানি নিশ্চিতভাবেই কয়েকজন বড় গ্রাহক পাওয়ার প্রত্যাশা করছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।
কোম্পানির প্রধান নির্বাহী জো লানডনের (সাবেক লকহিড মার্টিন স্পেস ভিপি)’র দাবি, নাসার আর্টেমিস অভিযানের পাশাপাশি অন্যান্য মহাকাশ গবেষণাভিত্তিক অভিযান সমর্থনে এই প্রকল্প ‘ভালোভাবেই প্রস্তুত’ আছে।
২০২৪ সালের আগ পর্যন্ত নাসা’র আর্টেমিস প্রকল্প প্রকল্প পরিচালনার ও ২০২৫ সালের আগ পর্যন্ত এটি চাঁদে অবতরণের কোনো সম্ভাবনা না থাকায় অনেকের কাছে কোম্পানির এমন দাবি ‘অপরিপক্ক’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
যাই হোক, এরইমধ্যে চাঁদের যাওয়ার প্রচেষ্টায় একটি স্পষ্ট প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের জাতীয় প্রচেষ্টার পাশাপাশি স্পেসএক্সের চন্দ্র পর্যটনের মতো ব্যক্তিগত প্রকল্পগুলোও। বিদ্যমান ব্যবসাগুলোর ব্যাঘাত না ঘটিয়ে ওই ভিড় থেকে লকহিড মার্টিনকে আলাদা রাখতে ক্রিসেন্ট নামের প্রকল্পটি সহায়ক হিসেবে কাজ করবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।