“ডেটা কারবারিরা গ্রাহকদের বিশাল ডেটা সংগ্রহ করে সেগুলো লেনদেন করেন এবং এটি বিভিন্ন ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অথচ এ বিষয়ে স্বচ্ছতা এবং সচেতনতা খুবই নগন্য।”
Published : 11 Jul 2023, 05:06 PM
ডেটা ব্যবসায়ীরা কীভাবে গ্রাহকদের ডেটা কেনা-বেচা করেন আর তা নিয়ে সবাই কতোটাইবা জানেন? এবার এ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ের গ্রাহক এবং অনান্য অংশীদারদের কাছে মতামত জানতে চেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিযোগিতা পর্যবেক্ষক সংস্থা।
ওরাকল, ইকুইফিক্স, এক্সপেরিয়ান এবং লাইভর্যাম্পের মতো আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর বিক্রি করা ডেটার ওপর তৈরি করা পণ্য ও সেবা যাচাই করে এ সেক্টরের ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরির ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশন (এসিসিসি)।
“ডেটা কারবারিরা গ্রাহকদের বিশাল ডেটা সংগ্রহ করে সেগুলো লেনদেন করেন এবং এই তথ্য লেনদেন বিভিন্ন ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অথচ এ বিষয়ে স্বচ্ছতা এবং সচেতনতা খুবই নগন্য।” –বলেছেন এসিসিসি প্রধান জিনা কাস-গটলিয়েব।
বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, সামাজিক মাধ্যম সাইট এবং কার্ডভিত্তিক লেনদেন সেবাদাতাসহ নানা উৎস থেকে ব্যবহারকারীদের ব্রাউজিং ও ক্রয় অভ্যাসের মতো ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে ডেটা বিক্রেতা কোম্পানিগুলো।
কীভাবে থার্ড পার্টি কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের ডেটা সংগ্রহ করে, কীভাবে সেগুলো বিভিন্ন পণ্য ও সেবা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এবং সেখানে কোনো প্রতিযোগিতা কিংবা গ্রাহকদের আপত্তি আছে কিনা, প্রস্তাবিত প্রতিবেদনটিতে সেসব পর্যবেক্ষণ করে দেখার কথা বিবৃতিতে বলেছে সংস্থাটি।
বিভিন্ন ডিজিটাল সেবা বাজারের ওপর পাঁচ বছরব্যাপী অনুসন্ধান চালাচ্ছে সংস্থাটির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শাখা, যা ২০২৫ সাল নাগাদ শেষ হবে বলে উল্লেখ রয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
থার্ড পার্টি থেকে সংগ্রহ করা ডেটা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের কছে বিক্রি বা ভাগাভাগির ব্যবসা এবং সেসব থেকে সৃষ্ট সম্ভাব্য প্রতিযোগিতা বা গ্রাহকদের আপত্তি প্রাধান্য পাবে প্রতিবেদনটিতে।
প্রতিবেদনটি ২০২৪ সালের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার ট্রেজারিতে কাছে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।