এদিকে, পিক্সি বাজারে আনার আগে স্ন্যাপের সিইও ইভান স্পিগেল ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ড্রোনের বাজার ভিডিও ধারণকারী চশমার বাজারের চেয়ে বড়।
Published : 03 Feb 2024, 01:57 PM
উন্মোচনের প্রথম চার মাসে প্রায় ৭১ হাজার পিক্সি ড্রোন বিক্রি হলেও এবার গ্রাহকদের কাছে প্রতিটা ড্রোন ফেরত চেয়ে আর্থিক রিফান্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্ন্যাপ। আর ড্রোনের ব্যাটারিতে আগুন ধরে যাওয়ার ঝুঁকিকে এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে কোম্পানিটি।
ব্যবহারকারীকে সেলফি তোলার সুবিধা দিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘পিক্সি’ নামের ক্যামেরা ড্রোন বাজারে এনেছিল স্ন্যাপ। তবে, উন্মোচনের চার মাস পরই এর বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছিল মেসেজিং অ্যাপ স্ন্যাপচ্যাটের মালিক কোম্পানিটি।
তবে, কেবল ড্রোনের ব্যাটারিই নয়, বরং গোটা ড্রোনটিই ফেরত চাচ্ছে স্ন্যাপ। কারণ কোম্পানি এরইমধ্যে এর ব্যাটারি উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।
এদিকে, ব্যবহারকারীদেরকে ‘জরুরিভাবে পিক্সি ফ্লাইয়িং ক্যামেরা ব্যবহার না করার, এর ব্যাটারি খুলে ফেলার ও এতে চার্জ দেওয়া বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে নতুন এক সতর্কবার্তা জারি করেছে স্ন্যাপ ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘কনজিউমার প্রোডাক্ট সেইফটি কমিশন (সিপিএসসি)’। আর এর কারণ হিসেবে চারটি ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার, একটি আগুন ধরার ও একটি ‘সামান্য আঘাত’ সংশ্লিষ্ট অভিযোগের কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ।
এ ক্ষেত্রে, গ্রাহক পুরো ড্রোনের জন্য এমনকি তার কাছে থাকা ড্রোনের কোনো ব্যাটারির জন্যেও রিফান্ড পেতে পারেন। সে হিসাবে অন্তত ১৮৫ ডলার ফেরত পাবেন গ্রাহক। এমনকি কেউ ড্রোন না কিনে উপহার হিসেবে পেয়ে থাকলেও তিনি এ রিফান্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন, যেখানে তাকে কোনো রিসিটও দেখাতে হবে না।
তবে, সে অর্থ পেতে ব্যাটারি ছাড়া পুরো ড্রোন ফেরত দিতে হবে। তার জন্য ‘https://returns.pixy.com/orders/portal.ssp?language=en_US#OrderLookup’ -এ লিংকে গিয়ে একটি ফর্ম পূরণ করে ড্রোনের সিরিয়াল নাম্বার প্রবেশ করাতে হবে ব্যবহারকারীকে।
স্ন্যাপ বলছে, ফর্মটি পূরণ করার পর ব্যবহারকারীকে একটি ‘প্রিপেইড রিটার্ন লেবেল’ ইমেইল বার্তা পাঠানো হবে। আর এর ব্যাটারিকে নিরাপদ জায়গায় ফেলার দায়িত্ব ব্যবহারকারীর নিজেরই।
এ ছাড়া, টার্গেটের মতো ওয়্যারহাউজ বা স্থানীয় কোনো হার্ডওয়্যার স্টোরে ব্যাটারিটি রেখে না আসার পরামর্শও দিয়েছে স্ন্যাপ।
‘স্ন্যাপ স্পেক্ট্যাকল’ নামের স্মার্ট চশমা বানিয়ে হার্ডওয়্যারের বাজারে প্রবেশ করা স্ন্যাপের জন্য ড্রোন উৎপাদনের বিষয়টি চমকপ্রদ এক পদক্ষেপ ছিল। এর মূল লক্ষ্য ছিল, স্ন্যাপচ্যাটে ভিডিও ধারণের ভিন্ন এক উপায় তৈরি করা। তবে, এখন অগমেন্টেড রিয়ালিটি’র দিকে মনযোগ দিয়েছে কোম্পানিটি।
এদিকে, পিক্সি বাজারে আনার আগে স্ন্যাপের সিইও ইভান স্পিগেল ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ড্রোনের বাজার ভিডিও ধারণকারী চশমার বাজারের চেয়ে বড়।
এবারই প্রথম পিক্সি ড্রোন বিক্রির পরিসংখ্যান প্রকাশ পেল। সিপিএসসি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটি ‘প্রায় ৭১ হাজার’ ইউনিট পণ্য বিক্রি করলেও এতে ড্রোন বিক্রির সংখ্যা কিছুটা কম। কারণ এর মধ্যে রয়েছে আলাদাভাবে বিক্রি হওয়া ড্রোনের ব্যাটারিও।