কোম্পানিটি অনেক সময়েই ‘গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট’কে বিভিন্ন ডিভাইসের অন্যতম ফিচারের একটি বলে উল্লেখ করেছে। কোটি কোটি মানুষ টুলটি ব্যবহার করে।
Published : 14 Jan 2024, 03:43 PM
সার্চ জায়ান্ট গুগল নিজেদের ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট’ অ্যাপ্লিকেশন থেকে অন্তত ১৭টি ফিচার সরিয়ে ফেলবে।
প্রায় এক হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরপরই কোম্পানিটি এ ঘোষণা দিলো বলে উঠে এসেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে।
‘গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ এমন একটি স্মার্ট টুল যেটি কণ্ঠস্বরের সাহায্যে ব্যবহার করা যায়। টুলটি বিভিন্ন ফোন থেকে শুরু করে, স্মার্ট স্পিকার বা বাসাবাড়ির জন্য তৈরি করা গুগলের বিভিন্ন পণ্যে দেখা যায়। কোম্পানিটি অনেক সময়েই এটিকে সেইসব ডিভাইসের অন্যতম ফিচারের একটি বলে উল্লেখ করেছে। কোটি কোটি মানুষ টুলটি ব্যবহার করে।
এই ফিচারগুলো সরিয়ে ফেলার কারণ হিসেবে কোম্পানিটি বলছে সেগুলো যথেষ্ট ব্যবহার করা হচ্ছে না। তাদের দাবি, পরিবর্তনগুলো এর ‘গুণমান ও নির্ভরযোগ্যতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে এবং বিভিন্ন ডিভাইসজুড়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করা আরও সহজ করবে’।
‘যে ফিচারগুলো সরিয়ে ফেলা হচ্ছে সেগুলো ‘অব্যবহৃত’ ছিল’ – এক ঘোষণায় বলেছে গুগল।
কোম্পানিটি আরও বলেছে, এর পরিবর্তে তারা ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সেগুলো আরও ভাল করার জন্য যথাযথ প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করবে।
বাদ যাওয়া সব ফিচার আর সে সম্পর্কে বিভিন্ন পরামর্শ নিয়ে নিজেদের ওয়েবসাইটে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে গুগল। তালিকা অনুসারে, ব্যবহারকারীরা অ্যাসিস্ট্যান্ট এর সাহায্যে ফোনে সেইভ করা কন্টাক্ট বিষয়ে তথ্য জানতে পারবেন না। তবে, তারা ফোন কল করতে পারবেন। একইভাবে, কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে ইমেল, ভিডিও বা অডিও মেসেজ পাঠানো যাবে না। গুগল বলছে, কেবল কল করা ও টেক্সট মেসেজ পাঠানো যাবে৷ এ ছাড়াও অন্যান্য ফিচারের বিস্তারিত তালিকাটি দেখা যাবে গুগলের ওয়েবসাইট থেকে।
আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে এসব ফিচার বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। এরপরে যেসব ব্যবহারকারী ফিচারগুলো খুঁজবেন তারা ‘একটি নোটিফিকেশন পাবেন যে নির্দিষ্ট তারিখের পরে এগুলো আর থাকছে না’।
পরিবর্তনগুলো মোবাইল, স্মার্টওয়াচ এবং স্মার্ট স্পিকারসহ গুগলের বিভিন্ন ডিভাইস জুড়ে আসবে।
গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করেই ব্যবহারকারীদের এই পরিবর্তন সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে উৎসাহিত করেছে কোম্পানিটি। ‘হেই গুগল, ফিডব্যাক পাঠাও’ বলে খুব সহজেই এটি করা যাবে।
গুগলের নতুন ফিচার তৈরি করে হঠাৎ বন্ধ করে দেয়ার প্রবণতা এতই প্রচলিত যে একটি ‘গুগল গ্রেইভইয়ার্ড’ নামের ওয়েবসাইটও রয়েছে। এখানে গুগলের বিভিন্ন হার্ডওয়্যার, অ্যাপস ও পরিষেবা যেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সে তালিকাটি রয়েছে। এ তালিকায় গত বছরেরই ১৪টি নাম উঠেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট।