মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ওয়াইট প্লেইনস শহরের আদালতে প্রস্তাবিত এ ক্লাস অ্যাকশন মামলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইরা স্কুম্যান।
Published : 31 Jan 2024, 03:31 PM
প্রিপেইড গিফট কার্ড ‘ভ্যানিলা’কে চোরদের নাগালের বাইরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে গ্রাহকদের মামলার মুখে পড়েছে আন্তর্জাতিক কার্ড সেবাদাতা কোম্পানি ‘ভিসা’।
নিউ ইয়র্কের ওয়াইট প্লেইনস শহরের আদালতে এ মামলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইরা স্কুম্যান। তার দাবি, ২০২২ ও ২০২৩ সালে নিজের কর্মীদের ছুটির দিনের উপহার হিসেবে আটটি পাঁচশ ডলার দামের ভ্যানিলা কার্ড কিনেছিলেন তিনি। তবে, পরে তিনি জানতে পারেন, কার্ডগুলো খালি।
মামলার তথ্য অনুসারে, এ ‘নন-রিলোডএবল’ ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা যায় সিভিএস, টার্গেট, ওয়ালগ্রিনস ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য মুদি ও খুচরা বিক্রেতা কোম্পানিতে । তবে, এগুলোর কার্ডবোর্ড কিছুটা পাতলা হওয়ায় চোররা সেগুলো খুলতে পারে ও কোনো ধরনের শনাক্তকরণ ব্যবস্থা ছাড়াই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে।
পরবর্তীতে ‘http://www.vanillagift.com’ ওয়েবসাইট থেকে চোররা মনিটর করতে পারে, কার্ডে অর্থ কখন লোড করা হয়েছিল। এছাড়া, অ্যাকাউন্ট থেকে চুরি করা তথ্য ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন পণ্যও কিনে থাকে বলে উঠে এসেছে মামলার অভিযোগে। আর এ ধরনের জালিয়াতি ‘কার্ড ড্রেইনিং’ নামে পরিচিত।
স্কুম্যান বলেন, ভিসা ও ভ্যানিলা কার্ডের দুই ইস্যুয়ার কোম্পানি জানত বা তাদের জানা উচিৎ ছিল যে, কার্ডগুলোতে তথ্য বেহাত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সেগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ফিচারও যোগ করা উচিৎ ছিল। এমনকি অর্থ চুরি হওয়ার পর তারা কোনো ভর্তুকিও দেয়নি।
এ প্রসঙ্গে রয়টার্স ভিসা ও মামলায় অভিযুক্ত সেবাদাতা কোম্পানি ‘ইনকম ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস’ ও ‘পাথওয়ার্ড ফাইন্যান্সিয়াল’ এর মন্তব্য জানতে চাইলেও তাৎক্ষণিক সাড়া মেলেনি।
গত বছরের নভেম্বরে ইনকম, পাথওয়ার্ডের পাশাপাশি আরও দুটি ভ্যানিলা কার্ড ইস্যুয়ার কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন স্যান ফ্রানসিসকো শহরের অ্যাটর্নি ডেভিড চিউ। তবে, ভিসার সদর দপ্তর স্যান ফ্রানসিসকোতে হলেও, মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় তাদের নাম আসেনি।
মঙ্গলবার দায়ের করা মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কের গ্রাহক জালিয়াতি সংশ্লিষ্ট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়।
২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারির পর থেকে যেসব গ্রাহক নিউ ইয়র্ক থেকে ভিসা ব্র্যান্ডের ভ্যানিলা কার্ড কিনে ঠকেছেন, তাদেরকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও করা হয় এ মামলায়।