২০২৫-এ প্রথম বাণিজ্যিক মহাকাশ স্টেশন চালুর পরিকল্পনায় ভাস্ট

‘হ্যাভন ১’ আকারে তুলনামূলক ছোট। এটি স্পেসএক্সের ক্যাপসুলের চেয়ে আকারে তেমন বেশি বড়ও নয়। আর এটি মূলত মহাকাশ স্টেশনে থাকা চার ব্যক্তির বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ও কক্ষপথীয় উৎপাদনের লক্ষ্যে তৈরি হচ্ছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2023, 12:05 PM
Updated : 12 May 2023, 12:05 PM

মহাকাশে প্রথম বাণিজ্যিক মহাকাশ স্টেশন চালু করার প্রতিযোগিতায় এবার যোগ হয়েছে নতুন এক কোম্পানি।

২০২৫ সালের অগাস্ট নাগাদ নিজেদের প্রথম বাণিজ্যিক মহাকাশ স্টেশন ‘হ্যাভন ১’ উৎক্ষেপণের লক্ষ্যে এবার ইলন মাস্কের বাণিজ্যিক রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স-এর সঙ্গে জোট বেঁধেছে মার্কিন অ্যারোস্পেস কোম্পানি ‘ভাস্ট’।

এই মহাকাশ স্টেশনকে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে নেবে স্পেসএক্সের ‘ফ্যালকন ৯’ রকেট। আর ‘ভাস্ট-১’ নামের ফলো-আপ মিশনে ক্রু ড্রাগন ব্যবহার করে চার নভোচারীকে ৩০ দিন পর্যন্ত মহাকাশ স্টেশন ‘হ্যাভন ১’-এ রাখার পরিকল্পনা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বা জনহিতকর কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে যাত্রীর বুকিং নিচ্ছে ভাস্ট। এর বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে স্পেসএক্স-এর সহায়তায় দ্বিতীয় যাত্রীবাহী অভিযানের পরিকল্পনাও রয়েছে কোম্পানিটির।

‘হ্যাভন ১’ আকারে তুলনামূলক ছোট। এটি স্পেসএক্সের ক্যাপসুলের চেয়ে আকারে তেমন বেশি বড়ও নয়। আর এটি মূলত মহাকাশ স্টেশনে থাকা চার ব্যক্তির বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ও কক্ষপথীয় পরীক্ষানিরীক্ষার লক্ষ্যে তৈরি হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে এনগ্যাজেট।

একে আকারে তুলনামূলক বড় মহাকাশ স্টেশনের কেবল একটি মডিউল হিসেবে রাখার পরিকল্পনা করেছে ভাস্ট। আর এটি ঘূর্ণনের মাধ্যমে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণও তৈরি করতে পারে।

টেকক্রাঞ্চ বলছে, ২০২৫ সালের এই লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী। আর ব্যক্তি উদ্যোগে মহাকাশ স্টেশন স্থাপনে ভাস্ট বিভিন্ন সুপরিচিত প্রতিদ্বন্দ্বীকেও হারিয়ে দিতে পারে। এদিকে, দশকের দ্বিতীয়ার্ধের আগ পর্যন্ত জেফ বেজসের অ্যারোস্পেস কোম্পানি ‘ব্লু অরিজিনের’ মহাকাশ স্টেশন ‘অরবিটাল রিফ’ চালুর সম্ভাবনাও কম। আর ২০২৭ সালের আগে ভয়জার, লকহিড মার্টিন ও ন্যানোর‍্যাক্স নিজেদের ‘স্টারল্যাব’ নামের ফ্যাসিলিটি চালু নাও করতে পারে। তবে, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করে ভাস্টকে এই প্রতিযোগিতায় হারানোর সেরা সুযোগ পাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ কোম্পানি ‘এক্সিওম’।