২০২০ সালের জুনে এক টুইটে মাস্ক বলেন, “মার্কিন আইনে স্পেসএক্স-এ নিয়োগের জন্য অন্তত গ্রিন কার্ড থাকা লাগবে। কারণ, রকেট অনেক উন্নত প্রযুক্তি।”
Published : 26 Aug 2023, 02:27 PM
কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে শরণার্থীদের সঙ্গে ‘বৈষম্যমূলক আচরণ’ করার অভিযোগ উঠেছে ইলন মাস্ক মালিকানাধীর রকেট কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’-এর বিরুদ্ধে।
“মামলায় অভিযোগ উঠেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অন্তত ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত নিয়মিতই শরণার্থীদের চাকরির আবেদনের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ করে তাদের নিয়োগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে স্পেসএক্স। এর কারণ, তাদের নাগরিকত্বের ধরন। আর এটা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও জাতীয়তা সংশ্লিষ্ট আইন লঙ্ঘন করে।” --এক বিবৃতিতে বলেছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
বিচার বিভাগ আরও বলেছে, বেশ কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন চাকরিতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ও প্রকাশ্য বিবৃতিতে স্পেসএক্স ‘ভুলভাবে’ দাবি করে আসছে যে রপ্তানি নিয়ন্ত্রক আইন নামে পরিচিত ফেডারেল নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার কারণে স্পেসএক্স শুধু মার্কিন নাগরিক ও বৈধ স্থায়ী বাসিন্দাদের (গ্রিন কার্ডধারী ব্যক্তি) নিয়োগ দিতে পারে।
কোম্পানির মালিক মাস্কের কয়েকটি অনলাইন পোস্টকে ‘প্রকাশ্য বৈষম্যমূলক বিবৃতির’ উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে মার্কিন বিচার বিভাগ।
মামলায় ২০২০ সালের জুনে মাস্কের এক টুইটের কথা উল্লেখ করেছে বিভাগটি, যেখানে তিনি বলেন, “মার্কিন আইনের ভিত্তিতে স্পেসএক্স-এ নিয়োগের জন্য অন্তত গ্রিন কার্ড থাকা লাগবে। কারণ, রকেট অনেক উন্নত প্রযুক্তি।”
স্পেসএক্সের বিরুদ্ধে আনা মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচার বিভাগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার’ বলে ব্যাখ্যা করেন মাস্ক।
এক্স-এ দেওয়া পোস্টে স্পেসএক্স সিইও মাস্ক বলেন, কোম্পানিকে বারবার বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা নয় এমন কাউকে কোম্পানিতে নিয়োগ দিলে তা আন্তর্জাতিক অস্ত্র পাচার আইন লঙ্ঘন করবে ও অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
মার্কিন বিচার বিভাগের নাগরিক অধিকার বিষয়ক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ক্রিস্টেন ক্লার্ক বলেন, বিচার বিভাগের তদন্তে উঠে এসেছে, নাগরিকত্বের ধরনকে অজুহাত দেখিয়ে ন্যায্য উপায়ে কর্মী নিয়োগে ব্যর্থ হয়েছে স্পেসএক্স। পাশাপাশি, যোগ্যতা থাকার পরও ফেডারেল আইন লঙ্ঘন করে কর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কোম্পানিটি।
ক্লার্ক আরও বলেন, স্পেসএক্স-এর নিয়োগদাতা ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ‘বুঝে শুনেই’ শরণার্থী প্রার্থীদের নিয়োগের বেলায় বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে।
নিয়োগের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু বিবেচনার পাশাপাশি ভুক্তভোগী শরণার্থীদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
ওই মামলায় আরও উল্লেখ রয়েছে, ভবিষতে স্পেসএক্স যেন মার্কিন ফেডারেল বিভাগের বৈষম্য সংশ্লিষ্ট নীতিমালা মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে জরিমানা দেওয়া লাগবে কোম্পানিকে। আর এটি নির্ধারণ করবে আদালত নিজেই।