ডিআরএএম চিপ এবং ফ্লাশ চিপ প্রস্তুতকারী মাইক্রনের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীর তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ও এসকে হাইনিক্স এবং জাপানের তোশিবা মালিকানাধীন কোইক্সিয়া।
Published : 13 Nov 2023, 10:48 AM
পেটেন্ট লঙ্ঘনের দায়ে মার্কিন চিপ নির্মাতা মাইক্রনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এর চীনা প্রতিদ্বন্দী ওয়াইএমটিসি। চীনা কোম্পানিটির অভিযোগ তোলা এ সংক্রান্ত পেটেন্টের সংখ্যা আটটি।
নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে কোম্পানিটি মাইক্রন এবং তার অধীনস্ত মাইক্রন কনজিউমার প্রোডাক্টস গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছে বৃহস্পতিবার।
অভিযোগে বলা হয় ওয়াইটিসির পেটেন্ট করা প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাইক্রন ওয়াইটিসির বাণিজ্যিক সম্ভাবনার ক্ষতি করেছে ও নিজেরা মুনাফা অর্জন ও তা সুরক্ষিত করেছে।
এ ব্যাপারে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য করেনি ওয়াইটিসি, সেইসঙ্গে নিয়মিত মার্কিন কর্ম-ঘণ্টার বাইরে প্রশ্ন করায় জবাব পাওয়া যায়নি মাইক্রনের কাছ থেকেও।
ডিআরএএম চিপ এবং ন্যান্ড ফ্লাশ চিপ প্রস্তুতকারী মাইক্রনের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীর তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং ও এসকে হাইনিক্স এবং জাপানের তোশিবা মালিকানাধীন কোইক্সিয়া। সেসব কোম্পানির তুলনায় ওয়াইএমটিসি যথেষ্ট ক্ষুদ্র প্রতিদ্বন্দ্বী বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। সেইসঙ্গে প্রতিবেদনটি আরও জানিয়েছে গত বছর তালিকাভুক্ত বেশ কিছু মার্কিন প্রযুক্তি কেনার ব্যাপারে ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে ওয়াইএমটিসি।
নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গত কয়েক বছর ধরে চীনে চিপ নির্মাণ প্রযুক্তি রপ্তানিতে কড়াকড়ি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
অন্যদিকে গত মে মাসে একই কারণ দেখিয়ে মাইক্রনের পণ্য কিনতে দেশটির অবকাঠামো নির্মাণ সংশ্লিষ্ট প্রধান প্রতিষ্ঠান সমূহের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চীন। তবে এ মাসের শুরুতে কোম্পানিটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, চীনে তিনি মাইক্রনকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
এর আগে ২০১৮ সালে চীনের রাষ্ট্রীয় সহায়তাপুষ্ট চিপ নির্মাতা ফুজিয়ান জিনহুয়া এক বিবাদের মুখে অভিযোগ করে মাইক্রন তাদের গোপন ব্যবসায়িক নথি চুরি করেছে, যদিও তা অস্বীকার করে মাইক্রন।
একসময় এই মার্কিন কোম্পানিটির বৃহত্তম বাজার ছিলো চীন এবং ২০১৭ অর্থ বছরে চীনের বাজারে এক হাজার কোটি ডলার আয় করে মাইক্রন, যা সে বছর তাদের মোট আয়ের অর্ধেক। তবে ২০২২ সালে সাংহাইয়ে তাদের ডিআরএম কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার কারণে সে আয় ১৬ শতাংশ কমে যায়।