গেইম নির্মাতাদের কেবল ১৮ বছরের কম বয়সী গেইমার শনাক্ত করাই সবকিছু নয়, বরং বয়স নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার বিষয়টিও নিরুৎসাহিত করতে হবে।
Published : 18 Feb 2023, 03:15 PM
ভিডিও গেইম নির্মাতাদের অবশ্যই শনাক্ত করতে হবে তাদের গেইমে অংশ নেওয়া গেইমারদের বয়স ১৮’র কম কি না, আর সে ক্ষেত্রে তাদের গেইম শিশুদের জন্য ক্ষতিকর নয় তা নিশ্চিত করতে হবে। শিশু নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সব বাধ্যবাধকতা উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যে ডেটা নিরাপত্তা তদারকির দায়িত্বে থাকা নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রস্তাব করা গেইমবিষয়ক নতুন নীতিমালায়।
বিভিন্ন গেইম নির্মাতা ও সরবরাহকারীরা যেন যুক্তরাজ্যের ডেটা বিষয়ক আইন মেনে চলে, তা নিশ্চিত করতেও বেশ কিছু নতুন পরামর্শ দিয়েছে দেশটির ‘ইনফর্মেশন কমিশনার’স অফিস (আইসিও)’।
NEW: We want to help games designers understand exactly how to apply the Children’s code.
— ICO - Information Commissioner's Office (@ICOnews) February 15, 2023
Our new top tips page outlines what you need to know and practical steps you can take:https://t.co/wLmTMbgdmj pic.twitter.com/PjgHMQLDkx
আইসিও বলেছে, এই নির্দেশিকা নিশ্চিত করবে, ভিডিও গেইমগুলো যুক্তরাজ্যের শিশু বিষয়ক আইন ‘চিলড্রেন’স কোড’-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিভিন্ন ডিজিটাল সেবায় শিশুদের জন্য যুক্তরাজ্যের ডেটা সুরক্ষা নীতিমালা কীভাবে প্রযোজ্য, সেটির রূপরেখা সম্পর্কে জানা যায় এই আইনের মাধ্যমে।
প্রস্তাবনা অনুসারে, গেইম নির্মাতাদের কেবল ১৮ বছরের কম বয়সী গেইমার শনাক্ত করাই সবকিছু নয়, বরং বয়স নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার বিষয়টিও নিরুৎসাহিত করতে হবে।
সংস্থাটি বলছে, গেইমারদের গেইম থেকে বিরতি নিতে আগ্রহী করে তোলার উদ্দেশ্যে গেইমে বিভিন্ন ‘চেকপয়েন্ট’ রাখার পাশাপাশি গেইমগুলো শিশুদের স্বাস্থ্য ও সুস্থতার বেলায় যেন ক্ষতির কারণ না হয়, সেটিও নিশ্চিত করা উচিৎ। আর গেইমগুলোর বাণিজ্যিক প্রচারণার উদ্দেশ্যে ‘আচরণভিত্তিক প্রোফাইলিং’ ব্যবস্থা ডিফল্ট হিসেবেই বন্ধ করতে হবে।
এই নির্দেশিকায় আরও উঠে এসেছে, বিভিন্ন এমন তথাকথিত ‘কৌশল’, যেগুলো শিশুদের প্রাইভেসি কমিয়ে আনতে উৎসাহ দেয় অথবা পুরস্কারের বিনিময়ে সামাজিক মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট তৈরির বিষয়ে চাপ দেয়, সেগুলোও নিরুৎসাহিত করা উচিৎ।
???? Risk assessments
— ICO - Information Commissioner's Office (@ICOnews) February 15, 2023
Just because a game isn’t aimed at children, doesn’t mean they won’t want to play it – you should assess and document the games appeal during the design stage. pic.twitter.com/j56e9NBBSI
“অনেক কিশোর-কিশোরীর জীবনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে গেইমিং। আর কমিউনিটি ও গেইমের ভিত্তিতে বিভিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা ডিজিটাল জগতে শিশুর প্রথম পদচারণা হতে পারে।” --বলেন আইসিও’র ‘গ্রুপ ম্যানেজার’ লিয়ান ডোহার্টি।
“আমরা চাই শিশুদের এই প্রথম পদচারণার বিষয়টি যেন পজিটিভ অভিজ্ঞতা এনে দেয়। আর সে দৃষ্টিকোণ থেকে এই প্রস্তাবগুলো গেইম ডেভেলপারদের সাহায্যের জন্যই তৈরি।” - বলেন তিনি।
“শিশুরা যে অনলাইনে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো নয় ও তাদের ডেটায় তুলনামূলক বেশি সুরক্ষা প্রয়োজন, ওই বিষয়টি নিশ্চিত করে চিলড্রেন’স কোড।”
☁ Transparency
— ICO - Information Commissioner's Office (@ICOnews) February 15, 2023
Bad privacy information design obscures risks. To improve your approach you could design mission style storylines to show privacy information at different stages. pic.twitter.com/SAXxEMozwJ
আইসিও’র তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের ৯৩ শতাংশ শিশুই বিভিন্ন ভিডিও গেইম খেলে থাকে। আর তুলনামূলক কম বয়সী শিশুরা গড়ে দৈনিক দুই থেকে তিন ঘণ্টা গেইম খেললেও, এদের চেয়ে বেশি বয়সীরা দৈনিক তিন ঘন্টা বা এর চেয়ে বেশি সময় গেইম খেলেন বলে উঠে এসেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে।