কোনো লেখাকে শনাক্তকরণের প্রযুক্তি সরিয়ে দিলেও "কোনো অডিও বা ভিজুয়াল কন্টেন্ট এআইসৃষ্ট কিনা, তা যাচাই করার পদ্ধতি তৈরি এবং প্রকাশ" করার কথা বলেছে ওপেনএআই।
Published : 28 Jul 2023, 11:35 AM
কোনো লেখা কে লিখেছে– মানুষ নাকি এআই? তা শনাক্ত করতে একটি প্রযুক্তি প্রকাশ করেছিলো চ্যাটজিপিটির প্রস্তুতকারক ওপেনএআই। কিন্তু নির্ভুলতার হার সন্তোষজনক না হওয়ায় সেটিকে সরিয়ে দিয়েছে কোম্পানিটি।
“গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও কার্যকরী উপায়ে কোনো লেখাকে যাচাই করার বিষয়ে আমরা গবেষণা করছি।” —একটি ব্লগপোস্টে বলেছে কোম্পানিটি।
প্রযুক্তিটি সরিয়ে দিলেও ওপেনএআই বলেছে “কোনো অডিও বা ভিজুয়াল কনটেন্ট এআই সৃষ্ট কিনা, তা যাচাই করার পদ্ধতি তৈরি এবং প্রকাশ” করার কথা বলেছে ওপেনএআই। কিন্তু সেই পদ্ধতিটি কী হবে সে বিষয়ে কোম্পানি কিছুই জানায়নি বলে মন্তব্য করেছে দ্যা ভার্জ।
কোনো লেখা এআইসৃষ্ট কিনা তা শনাক্ত করতে কখনওই পুরোপুরিভাবে নির্ভুল ছিলো না প্রযুক্তিটি, বরং মানবসৃষ্ট লেখাকেও এআইয়ের লেখা বলে চিহ্নিত করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্পষ্টভাবেই স্বীকার করেছে কোম্পানিটি।
ওপেনএআই তাদের চ্যাটজিপিটি ছাড়ার পর চারদিকে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। দ্রুততম গতিতে জনপ্রিয় হওয়া প্রযুক্তি হিসাবে কয়েকমাসের মধ্যে ১০ কোটি গ্রাহক লাভ করে। তার সঙ্গে সঙ্গে এআইসৃষ্ট লেখা এবং শিল্পকর্ম নিয়েও সতর্কতা তৈরি হয় বিভিন্ন মহলে। বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে, শিক্ষকরা আশংকা প্রকাশ করেন ছাত্ররা নিজেরা পড়াশোনা না করে চ্যাটজিপিটিকে দিয়ে তাদের বাড়ির কাজ করিয়ে নেবে।
ভুল তথ্য, নিরাপত্তা এবং প্রতারণার ঝুঁকির কারণে নিউ ইয়র্কের স্কুলগুলোয় চ্যাটজিপিটির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।
সেইসঙ্গে আছে এআইয়ের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি। গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের লেখার চেয়ে এআইসৃষ্ট বিভিন্ন লেখা এবং টুইট বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়।
বিভিন্ন সরকারও এআই নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো নীতিমালা তৈরি করতে পারেনি। তার আগ পর্যন্ত সবাইকে ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে তাদের নিজস্ব সুরক্ষামূলক নিয়ম এবং মানদণ্ড অনুযায়ী এই কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট লেখাকে ব্যবহারের কথা বলেছে।
তাই এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে এআইসৃষ্ট ও মানবসৃষ্ট লেখার মধ্যে তফাত কীভাবে করা যাবে, কোনো ব্যক্তি কিংবা জেনারেটিভ এআই প্রস্তুতকারক কোম্পানি কারো কাছেই এই প্রশ্নের চট করে দেওয়ার মতো কোনো সদুত্তর নেই। যদিও কিছু কিছু জালিয়াতি ধরা পড়ছে, তবে সামনে শনাক্তকরণ আরও কঠিন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছে দ্যা ভার্জের প্রতিবেদনটি।
ওপেনএআই কীভাবে তাদের ডেটা সংগ্রহ করেছে, এ নিয়ে তদন্ত করছে মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন, এর মাঝেই কোম্পানিটি ছেড়ে গিয়েছেন এর ট্রাস্ট এবং সেইফটি বিভাগের প্রধান।
এ বিষয়ে দ্যা ভার্জের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হলে কোনো মন্তব্য করেনি ওপেনএআই।